আরও ভিজবে তিলোত্তমা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বেশ কয়েকটি জেলার জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছে। হাওয়া মোরগের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়ায় আগামী ২-৩ ঘণ্টাতেও ভাল বৃষ্টি হবে।
জানা যাচ্ছে স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তেলঙ্গানা হয়ে ছত্তীসগড়ের দিকে সরবে নিম্নচাপ। তবে বাংলায় দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। কিন্তু প্রভাব রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারের পর আকাশ পরিষ্কার হয়ে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।( স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি)। মেঘ কাটলে মাঝ ডিসেম্বরে ঠান্ডার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব বাংলায়। ফলে সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। অসময়ে এই লাগাতার বৃষ্টির জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানুষ কার্যত গৃহবন্দী। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। আজ বাঙালির ঘরে ঘরে খিচুড়ির দিন। অসময়ে বৃষ্টির ফলে জেলায় জেলায় পাকা ধানের, আলু চাষের এবং শীতের সবজি-ফুলচাষে বড় ক্ষতি হচ্ছে। ফলা মাথায় হাত কৃষকদের। মিগজাউমের দাপটে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। দাম বাড়তে পারে আলু-চাল-সবজির।
কবে কাটবে প্রকৃতির এমন খামখেয়ালিপনা? কী বলছে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস? হাওয়া মোরগের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে। অন্যদিকে জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বর্তমাদের ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ছত্তীসগঢ়ে। কিন্তু বৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি নেই বাংলার। আজ কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে শুক্রবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে। শনিবার থেকে কমবে রাতের তাপমাত্রা। মনে করা হচ্ছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শীতের আমেজ পেতে পারেন বঙ্গবাসী।