আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনা জানাজানির দিন রাতেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। আপাতত আরজি কর মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। উচ্চ-আদালতের কাছে ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি জানিয়েছিল সিবিআই। সোমবার তা মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি এসে গিয়েছে। যে টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় যে ধৃত মিথ্যা বলছেন কিনা।
সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফি টেস্টের জন্য হাইকোর্ট আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে।
প্রায় রোজই ১২-১৪ ঘন্টা করে CBI জেরা, কোন কোন প্রশ্নে নাস্তানাবুদ ডাঃ সন্দীপ?
তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর গত পাঁচদিনে সিবিআই আরজি কাণ্ডে আর কোনও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেনি। তবে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রেক্ষাপটে এই মামলার একমাত্র ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। দেখার এই পরীক্ষার পর তদন্তে কোনও নয়া মোড় আসে কিনা।
‘প্রশ্ন হবে-জবাব দেব’, লালবাজারগামী মিছিল থেকে সাফ কথা ডাঃ কুণালের, পাল্টা দিল তৃণমূল
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সোশাল মিডিয়া পোস্টে কলকাতার পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়াল ও ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেন। কারণ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন যে জুনিয়র ডাক্তার আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। এরপরই লালবাজারের তরফে তৃণমূল সাংসদকে তলব করা হয়। যার পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছেন সুখেন্দু শেখর রায়। মঙ্গলবার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুখেন্দপ শেখরের সমালোচনা করা হয়েছে।