Tripura : স্বাধীনতার পর প্রথমবার উপজাতিরা বৃহত্তম বিরোধী দল হয়ে ঢুকল আইনসভায়

ভোটের ফলাফলে একদিন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেশের কিংবদন্তি উপজাতি কমিউনিস্ট নেতা দশরথ দেব। তাঁর রাজ্যে তাঁরই দল সিপিআইএমের কাছ থেকে বিরোধী দলের তকমাটাও চলে গেছে এবারের নির্বাচনে।

Tribal politics

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ভোটের ফলাফলে একদিন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেশের কিংবদন্তি উপজাতি কমিউনিস্ট নেতা দশরথ দেব। তাঁর রাজ্যে তাঁরই দল সিপিআইএমের কাছ থেকে বিরোধী দলের তকমাটাও চলে গেছে এবারের নির্বাচনে। বিধায়ক সংখ্যার বিচারে ত্রিপুরায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তিপ্রা মথা (১৩)। তৃতীয় সিপিআইএম (১১)। চতুর্থ কংগ্রেস (৩)। আর একক গরিষ্ঠতা (৩২) নিয়ে টানা দুবার সরকার ধরে রেখেছে বিজেপি।

বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (টানা কুড়ি বছর) মানিক সরকার তাঁর সংসদীয় রাজনৈতিক জীবন শেষ করে এবারের ভোটে লড়াই করেননি। তিনি সিপিআইএমের পলিটব্যুরো নেতা হিসেবে সাংগঠনিক নেতা হয়ে পরবর্তী কর্মকাণ্ড বেছে নিয়েছেন।

এবারের ভোটের ফলে ত্রিপুরার রাজনীতিতে যে সমীকরণ তৈরি করেছেন রাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ তাতে ত্রিপুরার বিধানসভা তো বটেই দেশে এই প্রথমবার কোনও উপজাতি দল আইনসভায় বিরোধী আসনে বসবে। স্বাধীনতার পর এ এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক ঘটনা।

ত্রিপুরার দুটি প্রধান ভাষা বাংলা ও ককবরক। দ্বিতীয় ভাষাটি উপজাতি জনগোষ্ঠির। সেই ভাাষাতেই এবার প্রশ্নের বাণ ছুটতে চলল বিধানসভায়। তিপ্রা মথার প্রধান হিসেবে রাজা প্রদ্যোত বলেছেন, তাঁর দল বিরোধী আসনে সিপিআইএম বা কংগ্রেসের পাশে বসবে না। আলাদা বসবে। তিনি বলেন,আমরা সরকারকে সমর্থন করছি না। তবে যে কোনও গঠনশীল কাজে সরকারের পাশে থেকে কাজ করবে তিপ্রা মথা।

এদিকে বিরোধী দল হিসেবে সিপিআইএম গত বিধানসভায় থাকলেও এবার তারা কংগ্রেসের সাথে জোট করে ভোটে লডাই করেছে। সেই জোটের মিলিত বিধায়ক সংখ্যা (বাম ১১, কংগ্রেস ৩) ১৪ জন। জোটের তরফে বিরোধী আসনের দাবি করার সম্ভাবনাও থাকছে।