আগামী ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন (Tripura by-election)। তার আগে কিছুদিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। সেই উপনির্বাচনে লড়াইয়ে নামার কথা জানিয়েছ তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোটের নির্ঘণ্ট ও প্রকাশ না হলেও ঘাসফুল শিবির ত্রিপুরায় কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব মঙ্গলবার বলেছেন, ত্রিপুরার চার কেন্দ্রে আমরা উপ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিজেপি স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে এখানে। ত্রিপুরার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। ত্রিপুরাবাসীকে মুক্তি দিতেই আমরা এই উপনির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, বিজেপির আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার কাছে আমাদের পক্ষে লড়াই করা খুবই কঠিন। তাই আমরা কৌশলী হয়ে আমাদের রণকৌশল সাজাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সুস্মিতা দেবের পথ ধরেই অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা রিপুন বরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। উত্তর-পূর্বে তৃণমূল ক্রমশ নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
কয়েক মাস আগে ত্রিপুরার পুরভোটে প্রথমবার লড়াইয়ে নেমেছিল তৃণমূল। আগরতলা পুরসভায় মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করলেও তৃণমূলের ভোট পেয়েছিল ২৩ শতাংশ। তবে এ রাজ্যের সেই কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
টিএমসি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁরা ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে ছাড়বেন। ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসনের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেবেন। অভিষেকের সেই ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্যের চার কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনে তৃণমূল লড়াই করতে চলেছে।
সম্প্রতি দুই বিজেপি বিধায়ক আশিস সাহা সুদীপ রায় বর্মন পদত্যাগ করে কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন। আশিস দাসের বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে। আর রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএম বিধায়ক রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথের মৃত্যুতে যুবারাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি শূন্য হয়েছে। তাই আগরতলা, বরদৌলি, সুরমা ও যুবরাজনগর এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।
রিপুন বরা দলে যোগ দেওয়ার পর অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন বাড়ানোর দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছে। অসমেও রিপুনের হাত ধরে জনা পঞ্চাশেক শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর।