আহমেদাবাদ: করোনা আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে ভয় ধরাচ্ছে আরেক নতুন ভাইরাস (Chandipura Virus)। এই ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যেই গুজরাতের ১৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ বহু শিশু। মোট ১৫টি জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ২৬ জন সন্দেহজনক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চিকিৎসক এবং সরকারের আশঙ্কা আগামী দিনে চাঁদিপুরা ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা আরও বাড়বে। ভাইরাসটি রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়বে। পশ্চিম ভারতের ২৯ জন সন্দেহভাজন আক্রান্তের মধ্যে ২৬ জন গুজরাতের, দু’জন রাজস্থানের এবং একজন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা।
আর মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন গুজরাতের বাসিন্দা। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সবরকান্থা, আরাবলি, মেহসানা, রাজকোট, আহমেদাবাদ শহর, মোরবি, পাঁচমহল প্রভৃতি এলাকা থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মিলেছে। এই ভাইরাসের লক্ষণ – ফ্লুর মতো লক্ষণগুলির সঙ্গে জ্বর, বমি, তীব্র এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ), খিঁচুনি।
‘জীবন-মৃত্যুর বিষয়’, রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তেই ঘোর শঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী
গুজরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, ডায়েরিয়া, বমি, খিঁচুনি প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। উপরের উপসর্গ গুলি দেখা গেলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে ঋষিকেশ প্যাটেল।
চাঁদিপুরা ভাইরাসের প্রধান উপসর্গ
বমিভাব বা বমি করা: এই ভাইরাসে আক্রান্ত দেয় গা পাক দিয়ে বমি হয়। ঘন ঘন বমির জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
খিঁচুনি ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর: তীব্র জ্বরের পাশাপাশি খিঁচুনিও শুরু হয় ছোট বাচ্চাদের।
চলন্ত ট্রেন থেকে খুলে গেল ইঞ্জিন! তারপর কী হল ডিব্রুগড়-হাওড়া কামরূপ এক্সপ্রেসের?
অচৈতন্য হয়ে যাওয়া: অনেক সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।