Shraddha murder case: জেরার সময় আফতাবের সঙ্গে পুলিশকে সংযত হয়ে পেশ হওয়ার নির্দেশ আদালতের

প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে(Shraddha murder case) গলা টিপে খুন করে তার শরীরের ৩৫ টুকরো করে কুপিয়ে দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে আফতাব। যত দিন…

প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে(Shraddha murder case) গলা টিপে খুন করে তার শরীরের ৩৫ টুকরো করে কুপিয়ে দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে আফতাব। যত দিন গড়াচ্ছে আফতাবের নৃশংসতার কথা সামনে আসছে, যা দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। এক্ষেত্রে জেরার সময় আফতাব কিছু না বলতে চাইলে বা বারবার বয়ান বদল করলে থার্ড ডিগ্রি দূরস্থ, শ্রদ্ধা হত্যায় মূল অভিযুক্ত আফতাবকে জেরার সময় জোর করতে পারবে না, এমনকি উঁচু গলায় কথা পর্যন্ত বলতে পারবে না পুলিশ। শ্রদ্ধা খুন মামলায় তদন্তকারী অফিসারদের এমনটাই নির্দেশ দিলেন দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালতের মতে, আফতাব যেভাবে নৃশংসভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে তাতে অপরাধের প্রতি যে কোন মানুষের ক্ষোভ উগড়ে পড়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে পুলিশও ব্যতিক্রম নয়। তাই এই মানসিকতা থেকে আফতাকে জেরা করার সময় সে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটলে তা আইনের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্ত পুলিশের হাতে মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কখনো বা মারাও গিয়েছে। এই ঘটনা এড়াতে দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কড়া নির্দেশ, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাব পুনাওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদে সময় বা পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন কোনরকম মারধর করা যাবে না। এমনকি মামলায় তদন্তকারীদের সে যদি সহযোগিতার না করে থার্ড ডিগ্রি তো দূরের কথা, তাকে জোর করা যাবেনা এমনকি জোর গলায় কথা বলাও যাবে না।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর থেকে আফতাব কিভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করে, তার দেহ লোপাটে চেষ্টা করে এই সংক্রান্ত একাধিক নৃশংসতার কথা স্বীকার করেছে। তবে একাধিকবার অভিযুক্ত নিজের বয়ান বদল করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে অফিসারা যাতে তদন্তের গোড়ায় পৌঁছাতে না পারে সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সত্য কথা বলছে না আফতাব। এই অপরাধের গোড়ায় পৌঁছাতে তদন্তে সুবিধার্থে সত্যি জানতে যাতে পুলিশ কোনভাবেই অপরাধীকে মারধর না করে, অর্থাৎ মারধরের ফলে যাতে আফতাব অসুস্থ না হয়ে পড়ে এই ঘটনা এড়াতে এমন নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি কোট।

আদালতের মতে, সুষ্ঠু ও শান্তভাবে আফতাবের পেট থেকে কথা বের করতে হবে তদন্তকারী অফিসারদের। সঠিক তথ্য এবং বয়ান সামনে আসলি আফতাবের বিরুদ্ধে পুলিশ নির্ভুল ও পোক্ত চার্জশিট পেশ করতে পারবে, যার ফলে আফতাব কঠিন থেকে কঠিনতম সাজা পাবে। এর অন্যথা হলে, এত নৃশংস খুনের মামলায় আফতাবকে কঠিনতম সাজা দিতে ফাঁক থেকে যাবে। এই কারণে এরকম নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এর পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আফতাবের নারকো টেস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে আফতাবে অনুমতির প্রয়োজন। পুলিশ সূত্রে খবর, নারকো টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে আফতাব। এই টেস্টে আফতাব পুরোপুরি ভাবে সত্যি কথা বলবে যার ফলে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের যে মিসিং তথ্য রয়েছে তা খুব কম সময়ে জুড়তে পারবেন তদন্তকারী অফিসাররা।