Assam: বাঙালি অধ্যুষিত জেলায় নাগা জঙ্গিদের গুলি, দাবি অসম পুলিশের

News Desk: নাগাল্যান্ডের মন জেলায় খনি শ্রমিকদের জঙ্গি সন্দেহে গুলি করে মারার পর থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হয়। সেই আশঙ্কা সত্যি…

Naga militants shot in Bengali inhabited district

News Desk: নাগাল্যান্ডের মন জেলায় খনি শ্রমিকদের জঙ্গি সন্দেহে গুলি করে মারার পর থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হয়। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের হামলা হয়েছে অসমের (Assam) বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা কাছাড়ে।

অসম পুলিশ জানাচ্ছে, রাজ্যের কাছাড় জেলার সঙ্গে মনিপুরের সীমানাবর্তী এলাকা জিরিঘাট। এখানকার শামটিলায় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে।

   

অসমের কাছাড় জেলার সঙ্গে মনিপুরের আন্ত:রাজ্য সীমানা। হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান কাছাড় জেলা পুলিশ সুপার রমনদীপ কাউর সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Randeep Kaur SP kachar Dist
রমনদীপ কাউর, পুলিশ সুপার, কাছাড় জেলা

প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে মনিপুরের দিক থেকে হামলা চালানো হয়। এতে জড়িত নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনঅসসিএন (আই-এম) গোষ্ঠী। কাছাড়ের পুলিশ সুপার বলেছেন, মনিপুর সীমামায় শামটিলা গ্রামে কিছু নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবেশ করে। এই গ্রামে থাকা নাগা জাতির কয়েকজনের সঙ্গে বচসা হয়। এর পরেই গুলি চালায় নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (আই-এম) জঙ্গিরা।

এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছে। কী করে তারা গুলি চালাতে পারে তাও প্রশ্নের। কাছাড় জেলা পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। পরবর্তীতে আরও জানানো হবে।

অসমের কাছাড় জেলার সঙ্গে মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের আন্ত:রাজ্য সীমানা। এই এলাকাগুলিতে বারবার হামলার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি অসম ও মিজোরাম আন্ত:রাজ্য সীমানায় দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছিল। এতে অসম পুলিশের একাধিক সদস্যের মৃত্যু হয়।

অসম, নাগাল্যান্ড, মনিপুর ও মিজোরামের এই আন্ত:রাজ্য সীমানা এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি সক্রিয়। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বিচ্ছন্নতাবাদী নাগা গোষ্ঠী এনএসসিএন এখন কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। মূল দুই গোষ্ঠী হলো এনএসসিএন (আইএম) ও এনএসসিএন খাপলাং। দ্বিতীয় গোষ্ঠীটি নাশকতা ঘটানো ও সেনা বাহিনীর উপর বিভিন্ন সময় হামলা করেছে।