Batla House Encounter: দিল্লি পুলিশের শহিদ ইন্সপেক্টর মোহন শর্মা হত্যাকারী দোষীর মৃত্যু

Batla House Encounter মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি শাহজাদ আহমেদ এইমস-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

Batla House Encounter

বাটলা হাউস এনকাউন্টার (Batla House Encounter) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি শাহজাদ আহমেদ এইমস-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শাহজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহন শর্মাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জেল কর্মকর্তাদের উদ্ধতি দিয়ে জানিয়েছে, শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি শাহজাদ আহমেদ মারা গেছে। আহমেদকে ২০০৮ সালের বাটলা হাউস এনকাউন্টারে দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহন চাঁদ শর্মাকে হত্যা এবং অন্যান্য অফিসারদের উপর হামলা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

দিল্লি হাইকোর্ট ডিসেম্বরেই শাহজাদ আহমেদকে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছিল। আহমেদ, ২০০৮ সালের বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন, তাকে আগে জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আহমেদের পেটে কিছু অভিযোগ ছিল এবং তাকে কিছু সময়ের জন্য ভেন্টিলেটরেও রাখা হয়েছিল।

Batla House Encounter কি?
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন দিল্লির বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮-এ, দিল্লির জামিয়া নগর এলাকার বাটলা হাউসের L-18 বাড়িতে লুকিয়ে থাকা সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যে একটি এনকাউন্টার হয়েছিল। এই এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি নিহত হয়,৷ আরিজ খান সহ দুই জঙ্গি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহন চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে এই পুরো অভিযান চালানো হচ্ছিল। শর্মাকে এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও বিবেচনা করা হত। দায়িত্ব পালনকালে তিনি ৩৫ জনেরও বেশি জঙ্গিকে হত্যা করেছিলেন, এর সাথে তিনি ৮০ জনেরও বেশি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। এই এনকাউন্টারে আহত ইন্সপেক্টর মোহন চন্দ্র শর্মাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে আট ঘণ্টা চিকিৎসার পর তিনি মারা যান।

এই সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। শর্মার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সব নেতাই এই এনকাউন্টারকে ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোও পুরো ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছিল।