T 20 World Cup: শনিবার সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে আমনে সামনে ইংল্যান্ড (England) ও আফগানিস্তান (Afghanistan)। শক্তির বিচারে দুই দলের তুলনা হয় না সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু নয় নয় করে বেশ কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় কাটিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। রশিদ, নবি, মুজিবুর রহমান, জাজাইরা ব্যক্তিগত স্তরে প্রতিভাবান হলেও একটা দল হয়ে উঠতে পারেনি আফগানরা।
তবুও তালিবান শাসনে থাকা দেশটার ক্রিকেটার লড়াই করা ছাড়া, ম্যাচ হারতে রাজি থাকে না। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও সেটা দেখা গিয়েছিল। আজ অবশ্য টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার তাদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। হজরতুল্লা জাজাই এবং রহমনুল্লা গুরবাজ ওপেন করেন তাদের হয়ে। বোলিংয়ের সূচনায় বেন স্টোকস।
মার্ক উড এসেই প্রথম উইকেট তুলে নিলেন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রহমনুল্লা গুরবাজ (১০)। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় উইকেট পড়ল। স্টোকসের বলে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন জাজাই। আফগানিস্তানের তৃতীয় উইকেটের পতন। স্যাম কারানের বলে মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ইব্রাহিম জাদরান (৩২)।
নাজিবুল্লা জাদরান (১৩) করে আউট হলেন বেন স্টোকসের বলে। অধিনায়ক মহম্মদ নবীও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারলেন না। মার্ক উড ফেরালেন আফগানদের অধিনায়ককে। ধুঁকতে ধুঁকতে ১০০-র গণ্ডি ছুঁল আফগানিস্তান। চরম ব্যাটিং বিপর্যয় নেমে এল তাদের। এই ধারাবাহিকতার অভাব তাদের দুর্বলতা সেটা আবার প্রমাণ হল।
শেষ পর্যন্ত ১১২ রান করে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের কাছে এই রান তাড়া করা ছেলে খেলার শামিল তাতে সন্দেহ ছিল না। বাটলার এবং হেলস আক্রমণাত্মক শুরু করেন। পার্থের মাঠে দারুণ এগোচ্ছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত ফারুকীর বলে মুজিবুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাটলার। এরপর অ্যালেক্স হেলস আউট হন ১৯ করে। ব্যর্থ বেন স্টোকস।নবির বলে ২ করে বোল্ড হন। মালান ১৮ করে ফিরে গেলেন। মুজিবের বলে অসাধারণ ক্যাচ নিলেন নবি। কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আফগানিস্তানের রান এতটাই কম ছিল অঘটন ঘটেনি। মইন আলি এবং লিভিংস্টোন রান তুলে দেন।