বঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি আজ এক নাজুক অবস্থায় দাঁড়িয়ে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেমন সাফল্য না পাওয়ার (Sukanta Majumdar) পর রাজ্যে বিজেপি তার সংগঠন মজবুত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এক বছর পর আবার বিধানসভা নির্বাচন। এর মাঝেই একের পর এক নেতা, নেতা-কর্মীর মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা কমছে। শীর্ষ নেতাদের একাধিক বার কড়া বার্তা দেওয়ার পরও দলীয় কাঠামো সুসংহত করার ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। তাতে করে বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।(Sukanta Majumdar)
এবার, রাজ্য সভাপতি নির্বাচন নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল। শীর্ষ নেতৃত্ব এখন থেকেই নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চাইছে, কারণ আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু সঠিক ব্যক্তি কে(Sukanta Majumdar) , তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে দিল্লির সদর দফতরে। আগামী সপ্তাহে, অর্থাৎ ৩ জুলাই, বঙ্গ বিজেপির(Sukanta Majumdar) পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। এর জন্য দলের মধ্যেই চলছে জোরদার লবিং। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একদম নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, সুকান্ত মজুমদারকেই আবার এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বরাবরই দলের এক শক্তিশালী মুখ, এখনই ফের দায়িত্বের প্রার্থী নয়।(Sukanta Majumdar)
আসলে, বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখায় দুই বড় গোষ্ঠী রয়েছে—একটি শুভেন্দু (Sukanta Majumdar) অধিকারীর নেতৃত্বে এবং অপরটি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে। এই দুই শিবিরের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী যেখানে অগ্নিমিত্রা পলকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন, অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের পক্ষে শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। এই বিভাজন বিজেপির কর্মসূচি এবং কৌশলেও প্রভাব ফেলছে।(Sukanta Majumdar)
রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের পছন্দের প্রার্থী হবেন সম্ভবত সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) । সুকান্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে গত কয়েক বছরে সংগঠন শক্ত করতে ও নেতৃত্ব সঞ্চালনে(Sukanta Majumdar) নানা কার্যক্রম নিয়েছেন। তবে, দলীয় কর্মীদের মধ্যেও তার কিছু নিন্দা ছিল, বিশেষ করে সুকান্ত মজুমদারের কিছু সিদ্ধান্তের ফলে দলের মধ্যেও বিভেদ তৈরি হয়েছিল। ফলে, এখনো তার পুনর্নির্বাচনের বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও, সুকান্তর পক্ষে শক্তিশালী ভিত রয়েছে।(Sukanta Majumdar)
আরেকদিকে, শুভেন্দু অধিকারী নিজে এই নির্বাচনকে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। (Sukanta Majumdar) তিনি অগ্নিমিত্রা পলকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে দেখতে চান এবং ইতিমধ্যেই দিল্লিতে দলের শীর্ষ(Sukanta Majumdar) নেতাদের কাছে এই প্রস্তাব পেশ করেছেন। বিজেপির মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পলকে তিনি দলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক হিসেবে দেখতে চাইছেন, আর সেই কারণেই এই চাওয়া। এই বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে, এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের অবস্থানও খর্ব হতে পারে।(Sukanta Majumdar)
এছাড়া, রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিজেপির(Sukanta Majumdar) প্রবীণ নেতা শমীক ভট্টাচার্যও এ দৌড়ে রয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা এবং দলের জন্য দীর্ঘদিনের অবদানের কারণে তাকে রাজ্য সভাপতির(Sukanta Majumdar) জন্য একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। যদিও তার পক্ষে কোনো উল্লেখযোগ্য সংগঠনের শাখা বা ক্যাম্পেইন নেই, তবুও তার রাজনৈতিক শক্তি এবং দলের প্রতি আনুগত্য তাকে এক শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।(Sukanta Majumdar)
বিজেপির অন্দরে চলছে কৌশলের গোপন যুদ্ধ। যদিও সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Majumdar) পক্ষে বড়ো সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন রয়েছে, তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো সহজ কাজ নয়। দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে আসল কথা হচ্ছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এক শক্তিশালী, অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় নেতা প্রয়োজন, যিনি রাজ্যব্যাপী দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারবেন এবং ভোটে দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেবেন।(Sukanta Majumdar)
রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বের সমন্বয় এবং দলের আগামী দিনগুলো নির্ভর করবে এই সিদ্ধান্তের ওপর। তাই ৩ জুলাই, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের দিন, সেটা যেমন দলের জন্য একটা বড়ো সিদ্ধান্ত হবে, তেমনি রাজ্যের রাজনৈতিক আকাশে নতুন এক দিগন্তও উন্মোচন করবে।(Sukanta Majumdar)