আইনি লড়াইয়ে আসবে নতুন অধ্যায়’, সুকান্তের জামিন প্রত্যাখানে পাল্টা আন্দোলন

গত শনিবার গড়িয়াহাট চত্বর থেকে গ্রেফতার হওয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। কসবা (Sukanta Majumdar)…

BJP State President Sukanta Majumdar Announces BJP Leaders Will Refuse Bail If Arrested for Protests

গত শনিবার গড়িয়াহাট চত্বর থেকে গ্রেফতার হওয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। কসবা (Sukanta Majumdar) গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সুকান্ত এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, এবং তারপরেই তাদেরকে লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রাখা হয়। একে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে(Sukanta Majumdar) 

সোমবার সকালে সুকান্ত মজুমদার লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপ(Sukanta Majumdar) থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সুকান্ত জানান, পুলিশ তাকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। তার মতে, তিনি এবং তার সহকর্মীরা ‘জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন’ শুরু করেছেন, এবং ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মীরা গ্রেফতার হবেন, তারা জামিন নিতে অস্বীকার করবেন(Sukanta Majumdar) 

   

তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখব, পুলিশের ক্ষমতা কতটুকু, না কি বিজেপি কর্মীদের ক্ষমতা বেশি। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কতগুলি জেল রয়েছে, আমরা সেটাও দেখতে চাই।” সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, এবং এটি তার দলের সদস্যদের মধ্যে আন্দোলনের নতুন দিক সূচিত করতে পারে(Sukanta Majumdar) 

লালবাজারে রাত কাটানো অভিজ্ঞত(Sukanta Majumdar) 

লালবাজারে রাত কাটানোর পর সুকান্ত মজুমদার বলেন,(Sukanta Majumdar) পুলিশ প্রথমে তাকে জামিনের জন্য সই করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারপর পুলিশ তাকে জানায় যে, সই করতে হবে না, এবং তিনি সহজেই চলে যেতে পারবেন। সুকান্তের দাবি, পুলিশ তাদের আটকে রাখার কোনও আইনি ভিত্তি ছিল না এবং তারা আদালতে পেশ করার সাহসও দেখায়নি(Sukanta Majumdar) 

তিনি বলেন, “আমরা ৪-৫ ঘণ্টা আটকে থাকলাম, অথচ পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই দায়ের করেনি। তাদের কাছে আমাদের আটকানোর কোনও বৈধ কারণ ছিল না। এমনকি খাবার এবং পানীয় সরবরাহের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সমস্যা ছিল। আহত কর্মীদের জন্যও ওষুধের ব্যবস্থা করতে আমাদের অনেক লড়াই করতে হয়েছে।(Sukanta Majumdar) 

কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে সুকান্তের অভিযো(Sukanta Majumdar) 

সুকান্ত মজুমদার কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে বলেন, এটি কোনও(Sukanta Majumdar) বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে, যেমন সন্দেশখালি থেকে কসবা, মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সুকান্ত বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এই ঘটনার পরে মুখ দেখাতে পারেন? নারী হয়ে, তার দলের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে এই ধরনের শারীরিক শোষণকে সমর্থন করা, এটা রাজ্যের জনগণের কাছে কী বার্তা দিচ্ছে?”(Sukanta Majumdar) 

Advertisements

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই ধরনের অপরাধের জন্য শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাদের দায়ী করা উচিত, কারণ তাদের দলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনাগুলি আগে থেকেই ঘটে আসছে। সুকান্তের ভাষায়, “মহিলা শিক্ষার্থী যদি শারীরিক শোষণের শিকার হয়, তবে তার দায় কোনও একজন ব্যক্তি নয়, বরং রাজ্যের শাসক দলের অপরাধী মানসিকতার ফল।”

তৃণমূলের শাসন নিয়ে প্রশ্ন(Sukanta Majumdar) 

সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি একাধিক প্রশ্ন ওঠে। তিনি দাবি করেন, “যদি কলেজে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন করতে গিয়ে এমন ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে হয়, তাহলে তৃণমূলের মূল দলে পদ পাওয়ার জন্য মহিলাদের কী ধরনের ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে হবে?(Sukanta Majumdar) 

সুকান্তের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, এবং প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বিশেষত মহিলাদের প্রতি শারীরিক শোষণ এবং তৃণমূল দলের নেতাদের মধ্যে অপরাধের অভিযোগগুলির সঙ্গে এই নতুন অভিযোগগুলি সংশ্লিষ্ট হয়ে উঠছে(Sukanta Majumdar) 

সুকান্তের নেতৃত্বে বিজেপির নতুন আন্দোলন(Sukanta Majumdar) 

সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, তিনি এবং তার দলের ৩২ জন নেতা মিলিতভাবে জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন শুরু করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, “আমরা পশ্চিমবঙ্গের সব জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার পর জামিন প্রত্যাখান করব। আমরা দেখতে চাই, পুলিশের ক্ষমতা আসলে কোথায় শেষ হয়।(Sukanta Majumdar) 

এই আন্দোলন সম্ভবত বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র হতে পারে। সুকান্তের দৃঢ় মনোভাব এবং তার দলীয় নেতাদের পাশে থাকার দৃশ্য কেবল এক রাজনৈতিক ভাষা নয়, এটি সরকারের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিবাদ।