২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির সিলেবাসে এক যুগান্তকারী (Education) পদক্ষেপ নিচ্ছে অসম। রাজ্য সরকার ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সাঙ্কেতিক ভাষা (Indian Sign Language – ISL) অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনে দেবে। এর পাশাপাশি, পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অর্থনৈতিক শিক্ষার নানা(Education) বিষয়ও। এসবের মাধ্যমে,(Education) অসম প্রথম ভারতীয় রাজ্য হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা(Education) করে জানিয়েছেন যে, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ইতিমধ্যেই ৭০ জন শিক্ষার্থী সাঙ্কেতিক ভাষা শেখার জন্য নাম নিবন্ধন করেছে। অসম রাজ্য স্কুল শিক্ষা বোর্ড (Assam State School Education Board – ASSEB) এই কোর্সটি চালু করেছে, যা বিশেষভাবে সক্ষম (diverse abilities) শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে(Education)
বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য সাঙ্কেতিক ভাষার গুরুত্ব(Education)
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাঙ্কেতিক ভাষার অন্তর্ভুক্তি একটি বড় বিপ্লব। ভারতীয় সাংকেতিক ভাষা (ISL) মূক-বধির ও শ্রবণ ও বাকশক্তি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ(Education) মাধ্যম। তবে, এটি শুধু তাদের জন্যই নয়, বরং ISL শেখা উচিত তাদের পরিবার এবং শিক্ষকদেরও। কারণ, ISL ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে(Education)
অসমের এই উদ্যোগটি ২০১৬ সালের “বিশেষভাবে সক্ষম(Education) অধিকার আইন” (Rights of Persons with Disabilities Act, 2016) এবং ২০২০ সালের “জাতীয় শিক্ষা নীতি” (National Education Policy, 2020) এর অন্তর্ভুক্ত লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য সমাজের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের দিকেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে(Education)
শিক্ষাবিদদের মতে, এই উদ্যোগটির সফল বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষণ(Education) সামগ্রী তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ISL-কে শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে, এটি শুধুমাত্র বিশেষ শিক্ষার্থীদের নয়, বরং সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সামাজিক অঙ্গীকার এবং যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত করবে।(Education)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও অর্থনৈতিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত(Education)
এর পাশাপাশি, অসম রাজ্য সরকার পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অর্থনৈতিক শিক্ষার বিষয়গুলিকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। AI বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রসারিত প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি। ভবিষ্যতে, AI সংক্রান্ত জ্ঞান এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই, অসম রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপটি শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে(Education)
অর্থনৈতিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার্থীদের আর্থিক বিষয়ে সচেতন (Education) করে তুলবে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, বর্তমান যুগে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বাজারের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে সফল ক্যারিয়ার গড়ার একটি শক্ত ভিত তৈরি করবে।(Education)
অসমের ভূমিকা ও ভবিষ্য(Education)
অসম রাজ্যের এই উদ্যোগটি দেশের অন্যান্য রাজ্যের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। রাজ্যটির এই পদক্ষেপটি কেবলমাত্র শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং সমাজের সকল(Education) শ্রেণী-জাতির মধ্যে সমতা ও অন্তর্ভুক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য এই নতুন পাঠ্যক্রমের(Education) মাধ্যমে তাদের সামাজিক এবং আর্থিক অবস্থানে উন্নতি হবে, যা সমাজের মূলধারায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। সাঙ্কেতিক ভাষার মাধ্যমে বিশেষভাবে সক্ষমদের সঙ্গে সংযোগ এবং বোঝাপড়ার নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে চলেছে(Education)
একই সঙ্গে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অর্থনৈতিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি এবং আর্থিক চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে পারদর্শী করে তুলবে, যা তাদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে(Education)
অতএব, অসমের এই পদক্ষেপটি শুধুমাত্র একটি রাজ্যের শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে নয়, বরং ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।(Education)