প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা (temba-bavuma)। গত ২৭ বছরে এই প্রথম কোনো আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলল দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। তবে এই জয়ের মধ্যে যে নাম টি না বললেই নয় তিনি ক্যাপ্টেন টেম্বা বাভুমা(temba-bavuma)। যিনি একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দল কে ট্রফি এনে দিয়েছেন। তবে আজকের প্রতিবেদনে একটা বিতর্কিত বিষয় আলোচনা করা যেতেই পারে তা হল দলের মধ্যে বহু বছর ধরে চলা বর্ণবিদ্বেষ।
দক্ষিণ আফ্রিকান (temba-bavuma) ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত বাভুমা ই একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক যিনি দলের জন্য কোনো আই সি সি ট্রফি এনে দিলেন। দু বছর আগে লুঙ্গি এনগিডি যিনি বছরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন, তিনিও দলের মধ্যেকার এই বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিষোদ্গার করেছিলেন। সবার ই মনে আছে একটা সময় দলের শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় রা দল ছাড়েন বর্ণবিদ্বেষের কারণে।
ঠিক এক ই অবস্থা হয় জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট দলেও। একটা সময় পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমি পুত্রদের কার্যত কোনঠাসা করে রেখে শেতাঙ্গ খেলোয়াড় রা দলে জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সময় বারে বারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে (temba-bavuma) বড় টুর্নামেন্টে বিফল মনোরথ হতে হয়েছে। বিখ্যাত পেসার মাখায়া এনটিনি র পরে বাভুমা, এনগিডি আর পেস এবং সুইঙের জাদুকর কাগিসো রাবাডা দলে জায়গা পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের মান অনেক উপরে নিয়ে গেছেন।
তারপর আবার বিপ্লব ঘটিয়ে একে একে দলে জায়গা পান আর ও ভূমিপুত্র, যাদের একটা সময় পর্যন্ত দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। দলের শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় দের পাশাপাশি তারাও নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন সাফল্যের দোরগোড়ায়। তার জ্বলন্ত প্রমান এই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জেতা এবং দুই যুগের ও বেশি সময় পরে কোনো আই সি সি ট্রফি ঘরে তোলা।
এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বোলারদের ই রাজত্ব ছিল গোড়া থেকে তবুও প্রথম ইনিংসে ৮৪ বলে ৩৬ রান এবং শেষ ইনিংসে ১৩৪ বল খেলে ৬৬ রান করেন বাভুমা যা এক কথায় এই ধরণের সুইং সহায়ক পিচে অনবদ্য পারফরম্যান্স। আর রাবাডার বোলিং নিয়ে আলোচনা করতে হলে দেখা যায় প্রথম ইনিংসে রাবাডা সংগ্রহ করেন ৫ উইকেট ৩.২৫ ইকোনমিতে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট, যা এক কথায় অসাধারণ।
ইজরায়েলের ‘অদৃশ্য’ অস্ত্র যা নিমেষে ধ্বংস করে দেয় শত্রুর মিসাইল
বাভুমার (temba-bavuma) নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু ক্রিকেটীয় দক্ষতাই প্রদর্শন করেনি, বরং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী বার্তাও দিয়েছে। তাঁর অধিনায়কত্ব দলের মধ্যে ঐক্য এবং সমন্বয় তৈরি করেছে, যা এই জয়ের পিছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে।
তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে (temba-bavuma) বর্ণবিদ্বেষের সমস্যা এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। এই জয়ের মাধ্যমে বাভুমা এবং তাঁর দল প্রমাণ করেছে যে প্রতিভা ও নেতৃত্বে কোনও রঙের বাধা নেই। প্রঙ্গত যে কোনো টুর্নামেন্টে বাভুমার ইমোশন এবং দলের প্রতি ভালোবাসা বারে বারে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং তা দেখে মনে হয়েছে এ যেন তার পরিবারের জয়।
এই ঐতিহাসিক জয় দক্ষিণ আফ্রিকার (temba-bavuma) ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে। বাভুমার নেতৃত্বে দল ভবিষ্যতে আরও সাফল্য অর্জন করবে বলে সমর্থকরা আশাবাদী। এই ট্রফি শুধু একটি ক্রীড়া বিজয় নয়, বরং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে সামাজিক পরিবর্তনের একটি প্রতীক।