ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে (Forex Reserves) নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৬.৬৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রিজার্ভের এই পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত সর্বোচ্চ ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলারের মাত্র ১.২% নিচে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫ তারিখে।
Read Hindi: भारत ने विदेशी मुद्रा भंडार में बनाया नया रिकॉर्ड
এর আগের সপ্তাহে, ৩০ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.২৩ বিলিয়ন ডলারের পতন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জুনের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ ৬ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে রিজার্ভে রেকর্ড ৫.১৭ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে।
মূলত কোন কোন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি?
RBI-এর তথ্য অনুযায়ী, এই বৃদ্ধির মূল উৎস হলো ফরেন কারেন্সি অ্যাসেটস বা বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ, যা বেড়েছে ৩.৪৭২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ফরেন কারেন্সি অ্যাসেটসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.৬৮৭ বিলিয়ন ডলার।
আর একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে সোনার রিজার্ভে। ৩০ মে থেকে ৬ জুনের মধ্যে ভারতের সোনার রিজার্ভ বেড়েছে ১.৫৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৮৫.৮৮৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের তুলনায় বর্তমানে RBI-এর সোনা সংরক্ষণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছে, আর সেই প্রেক্ষিতেই ভারতও তার রিজার্ভে সোনার পরিমাণ বাড়াচ্ছে।
গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান
২০২২ সালে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ৭১ বিলিয়ন ডলারের পতন ঘটেছিল, কিন্তু ২০২৩ সালে তা আবার ঘুরে দাঁড়ায় এবং ৫৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়। ২০২৪ সালে মোট রিজার্ভ বৃদ্ধি পায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।
RBI-এর ভূমিকা
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ RBI বাজারে হস্তক্ষেপ করে থাকে, বিশেষত যখন রুপি অতিমাত্রায় দুর্বল হয়ে পড়ে বা হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি হয়। রুপি শক্তিশালী থাকলে RBI ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়ায় এবং দুর্বল হলে বিক্রি করে রুপি রক্ষা করে।
সম্প্রতি RBI গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার দেশের প্রায় ১১ মাসের আমদানি খরচ মেটাতে সক্ষম এবং ৯৬ শতাংশ বহির্বিশ্ব ঋণ মেটানোর মতো যথেষ্ট।