শামিকে টপকে ICC ফাইনালে নয়া ইতিহাস গড়লেন স্টার্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।তিনি ভারতের মোহাম্মদ শামির পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে এই…

mitchell starc

অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।তিনি ভারতের মোহাম্মদ শামির পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ১১ জুন অনুষ্ঠিত আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে এই অসাধারণ কীর্তি গড়েন স্টার্ক।

ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ২১২ রান তুলতে সমর্থ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা পাঁচ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপকে চাপে ফেলে দেন। তবে স্টিভ স্মিথ ৬৬ এবং বিউ ওয়েবস্টার ৭২ রান করে দলকে একটি সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন। কিন্তু দিনের প্রকৃত নায়ক ছিলেন মিচেল স্টার্ক, যিনি বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান।

   

স্টার্ক ম্যাচের প্রথম ওভারেই আইডেন মার্করামকে শূন্য রানে আউট করে দিন শুরু করেন তার চিরাচরিত আগ্রাসী ধরনে। দিনের খেলা শেষে তিনি সাত ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন। এই উইকেট দুটির সুবাদে স্টার্ক আইসিসি ফাইনালে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন। তিনি এখন পাঁচটি আইসিসি ফাইনালে ১১টি উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ শামির ১০ উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন। শামি চারটি ফাইনালে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। স্টার্কের অতীত পারফরম্যান্সের মধ্যে রয়েছে ২০১৫ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে দুটি, ২০২৩ সালের ডব্লিউটিসি ফাইনালে চারটি এবং ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনটি উইকেট।

Advertisements

আইসিসি ফাইনালে সর্বাধিক উইকেট শিকারের তালিকা:
• মিচেল স্টার্ক: ১১ উইকেট (৬ ইনিংস)
• মোহাম্মদ শামি: ১০ উইকেট (৬ ইনিংস)
• ট্রেন্ট বোল্ট: ৮ উইকেট (৫ ইনিংস)
• রবীন্দ্র জাদেজা: ৮ উইকেট (১০ ইনিংস)
• কাইল জেমিসন: ৮ উইকেট (৩ ইনিংস)

এই ম্যাচে স্টার্কের সাফল্য তাকে ২০২৩-২০২৫ ডব্লিউটিসি চক্রে উইকেট শিকারের তালিকায় আরও উপরে তুলেছে, যেখানে তার উইকেট সংখ্যা এখন ৭৪।
ম্যাচের পরিস্থিতির কথা বললে, অস্ট্রেলিয়া ২১২ রান করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শুরু হয়। কিন্তু তাদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দিনের খেলা শেষে তারা ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। স্টার্ক দুটি উইকেট নেন, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউড একটি করে উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে ১৬৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে।