বর্তমান সময়ের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার (Home Secretary) প্রেক্ষিতে ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলোর সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।(Home Secretary) পশ্চিমবঙ্গ, যা বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বিস্তীর্ণ সীমান্ত ভাগ করে নেয়, সেই রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এবার কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে(Home Secretary)
গত রবিবার, যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে সফররত ছিলেন, ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তাদের(Home Secretary) সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা(Home Secretary)
বৈঠকে মূলত সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার দিকেই বিশেষ জোর দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তের বড় অংশ কাঁটাতারে ঘেরা হলেও (Home Secretary) এখনও অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ভৌগোলিক জটিলতা কিংবা জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই সমস্ত সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করার বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য একমত হয়েছে(Home Secretary)
বিশেষ করে নদীপথ বা জল সীমান্তের(Home Secretary) নিরাপত্তা নিয়েও এবার নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, নদীর উপর ভাসমান আউটপোস্ট নির্মাণ করা হবে, যা জলপথে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ রুখতে সাহায্য করবে।(Home Secretary) এই আউটপোস্টগুলিতে আধুনিক নজরদারি সরঞ্জাম থাকবে, এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে সেগুলি পরিচালনা করবে। রাজ্য পুলিশকেও এই বিষয়ে আলাদা পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita) কার্যকর করার প্রসঙ্গ। আইন কার্যকর করতে গিয়ে(Home Secretary) কর্মীদের মধ্যে আইনের নানা ধারা ও প্রয়োগ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সেই কারণেই কেন্দ্র রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে, যাতে পুলিশ ও প্রশাসনিক স্তরের কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়(Home Secretary)
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই(Home Secretary) ধরনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং পরিকল্পনা যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকলেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানগত গুরুত্ব এবং চোরাচালান, অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবাদের মতো সমস্যাগুলির সম্ভাবনা সবসময় থেকেই যায়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চল এবং সুন্দরবনের নদীবেষ্টিত সীমান্ত এলাকাগুলি নজরের বাইরে চলে গেলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা থাকে(Home Secretary)
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ প্রচেষ্টা সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তার জাল আরও শক্ত করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতে এই পরিকল্পনা সফল হলে, শুধু সীমান্ত সুরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।(Home Secretary)
অতএব, সীমান্ত রক্ষায় কেন্দ্র ও রাজ্যের এই মিলিত প্রয়াস এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হলে, আগামী দিনে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে(Home Secretary)