প্রেসিডেন্ট শাসনের আওতায় থাকা মণিপুরে (Manipur) ফের জনপ্রিয় সরকার গঠনের দাবি জানালেন এনডিএ-র অন্তর্গত প্রায় ১০ জন বিধায়ক। বুধবার তাঁরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভল্লার সঙ্গে দেখা করেন এবং রাজ্যে সরকার গঠনের পক্ষে দাবি জানান। এই (Manipur) প্রতিনিধিদলের মধ্যে নাগা পিপলস ফ্রন্ট (NPF) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP)-র বিধায়কও ছিলেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মণিপুরে প্রেসিডেন্ট(Manipur) শাসন জারি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের চার দিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন(Manipur) সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রী পদে সমঝোতা না হওয়ায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করতে হয়।
বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিধায়কেরা ২২ জন বিধায়কের(Manipur) সমর্থনপত্র জমা দেন, যারা রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পক্ষে। কেশমথঙ আসনের নির্দল বিধায়ক(Manipur) এস নিশিকান্ত সিং বলেন, “তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে প্রেসিডেন্ট শাসন চলছে। সাধারণ মানুষ(Manipur) চান যেন দ্রুত একটি জনপ্রিয় সরকার গঠিত হয়।” তিনি আরও জানান, “আমরা রাজ্যপালকে প্রেসিডেন্ট শাসনের(Manipur) কাজকর্ম এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।”
তিনি আশাবাদী যে শীঘ্রই একটি জনপ্রিয় সরকার(Manipur) গঠিত হবে এবং বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে একটি চিঠি দিয়েছি, যেখানে অনেক বিধায়কের সই রয়েছে। এই একই চিঠি আমরা আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দিয়েছিলাম। রাজ্যের স্বার্থেই এনডিএ-র বিধায়কেরা চায়, একটি(Manipur) শক্তিশালী ও কার্যকর সরকার গঠিত হোক।”
বিজেপি বিধায়ক থোকচোম রাধেশ্যাম সিং বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে জানিয়েছি, ৪৪ জন বিধায়ক সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত। রাজ্যের চলমান সমস্যার সমাধানে কীভাবে এগনো যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদে(Manipur) প্রার্থী নির্ধারণে মতানৈক্যই বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জানান, “বহুজন মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী ছিলেন। স্পিকার থোকচোম সত্যব্রত সিং ও প্রাক্তন মন্ত্রী ইয়ুমনাম খেমচাঁদ সিং মুখ্যমন্ত্রী(Manipur) পদের দাবিদার ছিলেন।” তিনি আরও জানান, প্রাক্তন মন্ত্রী থংগাম বিশ্বাসজিৎ এবং গোবিন্দদাস কনথৌজাম-ও এই দৌড়ে ছিলেন।(Manipur)
এরই মাঝে মণিপুরের জটিল পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়েছে ২০২৩ সালের ৩ মে-র পর থেকে। ওই দিন ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ উপলক্ষে মৈতেই সম্প্রদায়ের আদিবাসী মর্যাদার (Manipur) দাবির প্রতিবাদে পাহাড়ি জেলাগুলিতে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা পরিণত হয় ভয়াবহ জাতিগত সংঘর্ষে। এই সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ১,৫০০ জন, এবং ঘরছাড়া হয়েছেন ৭০,০০০-রও বেশি মানুষ(Manipur)
বর্তমানে মণিপুরে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা(Manipur) ফেরানোর জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি এবং এনডিএ নেতৃত্ব। বিধায়করা মনে করছেন, একটি নির্বাচিত সরকারই পারে এই সংকট কাটিয়ে রাজ্যকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এবার রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে গোটা মণিপুর। জনমতের প্রতিফলন ঘটিয়ে তিনি কত দ্রুত কোনও পদক্ষেপ নেন, সেটাই এখন দেখার।(Manipur)