বন্যার জলে ভেসে গেল বড় গাড়ি, মৃত কমপক্ষে ১০ জন

ফের একবার বড় দুর্ঘটনা (Accident) ঘটে গেল দেশে। হিমাচল-পাঞ্জাব সীমান্তের কাছে জেজিওন গ্রামে একটি ইনোভা গাড়ি ভেসে গেল নদীর প্রবল স্রোতে। ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল…

ফের একবার বড় দুর্ঘটনা (Accident) ঘটে গেল দেশে। হিমাচল-পাঞ্জাব সীমান্তের কাছে জেজিওন গ্রামে একটি ইনোভা গাড়ি ভেসে গেল নদীর প্রবল স্রোতে। ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল একই পরিবারের ১০ জন মানুষের।

ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ১০ জনের মৃতদেহকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর, বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। নওয়ানশহর থানার পুলিশ মৃতদেহগুলিকে ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, দেহলান গ্রামের সুরজিৎ ভাটিয়ার ছেলে দীপক ভাটিয়া তার আত্মীয় ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে ইনোভা গাড়িতে করে নওয়ানশহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এরপর জেজের কাছে উপত্যকায় বৃষ্টির জলের প্রবাহ খুব শক্তিশালী ছিল। এ সময় ইনোভা চালক গাড়িটি খাদ থেকে সরানোর চেষ্টা শুরু করলে জলের প্রবল স্রোতে ভেসে যায় ইনোভা।

   

ইনোভার সাত বছরের এক শিশু ও চালককে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। পরিবারটি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নওয়ানশহর জেলার উনা থেকে মাহিলপুর যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চো নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে আরও কয়েকটি গাড়ি থামানো হলেও দুর্ভাগ্যজনক এমইউভির চালক ঝুঁকি নিয়ে মাঝপথে আটকে পড়েন। এরপর ধীরে ধীরে গাড়িটি প্রবল জলস্তরে ভেসে যেতে শুরু করে।

মাহিলপুর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্থানীয় এসএইচও ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তারা চালক ও সাত বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন একজন।

হিমাচল প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী একটি বিবৃতি জারি করেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আধিকারিকদের পাঠানো হয়। সার্চ ও রেসকিউ অভিযান চলছে লাগাতার তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ। এ ঘটনায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। বন্যার কারণে বাথু-বাথরি এলাকাও ধস নেমেছে। প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।’