ঘূর্ণিঝড় রেমালে (Remal) বেসামাল বাংলা। উপকূলের বিস্তীর্ণ অংশ তছনছ। অনেকের প্রাণও গিয়েছে। সেই রেমালকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পুরুলিয়া। সেটাও আবার সাড়ম্বরে, উৎসব করে।
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া। রুক্ষ জেলা। জলের অভাব। রুক্ষ মাটিতে চাষেও নানা সমস্যা। চাষের পথ সুগম করতে ঈশ্বরের উপাসনা করেন পুরুলিয়ায় কৃষকরা। সেই উৎসবের নাম রোহিণী। ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টির চাওয়া হয়। সেই উৎসবে রেমালকে আহ্বান জানালেন পুরুলিয়ার কৃষকরা।
স্থানীয়দের মতে, মানভূমের বহু প্রাচীন উৎসব রোহিণী। এই উৎসবের মাধ্যমে ভরা গ্রীষ্মেই বর্ষাকে আহ্বান জানানো হয়। প্রতি বছর তেরোই জৈষ্ঠ এই উৎসব পালন করা হয় জঙ্গলমহলের জেলায়। সোমবার সাড়ম্বর সেই উৎসব পালিত হল পুরুলিয়ায়। যুগ যুগ ধরে এই উৎসব চলে আসছে। পুরুলিয়ার কৃষকদের অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই রোহিণীর সঙ্গে।

রোহিণী উৎসবের মাধ্যমেই গ্রীষ্ম পরবর্তী চাষ শুরু করেন পুরুলিয়ার কৃষকরা। তাঁদের বিশ্বাস, এই বিশেষ দিনে চাষ শুরু করলে ফসল বালো হয়। জমিতে বীজ ফেললে ফসলে পোকা ধরে না। মানভূমের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রোহিণী উৎসব। পুরুলিয়ার জীবন জীবিকার অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব।
Remal Cyclone: রেমাল বিধ্বস্ত সন্দেশখালির ভরসা রেড ভলেন্টিয়ার্স, ‘ঝড়ে উড়ে গেল তৃণমূল-বিজেপি’
অনেকেই বলেই রোহিণী উৎসব হচ্ছে মানভূমের মাটির উৎসব। পরিবারের কল্যাণে বাড়িতে গোবরের রেখা দিয়ে দন্ডি কাটেন মহিলারা। অনেকে আবার মাটি সংগ্রহ করে বাড়িতে তুলসি মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন।