Attack on Gaza: ফিলিস্তিনিদের জন্য বিক্ষোভ করছেন ইহুদিরা! প্রবল বিড়ম্বনায় ইজরায়েল

আমরা ইজরায়েল সরকারের নীতি মানছি না। এমনই দাবি তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ।এরা ইজরায়েলি। এরা ইহুদি। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইজরাইলি বাহিনীর হামলা…

আমরা ইজরায়েল সরকারের নীতি মানছি না। এমনই দাবি তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ।এরা ইজরায়েলি। এরা ইহুদি। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইজরাইলি বাহিনীর হামলা করছে এমন অভিযোগে প্রতিবাদে চলছে দেশে দেশে। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় এই বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের অনেকে ইহুদি। নিজ দেশ ইজরায়েলের অবস্থানের বিরুদ্ধে চলছে তাদের বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভে চমক লেগেছে বিশ্বে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইজরায়েলের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে দিয়ে সে দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। তার প্রত্যাঘাতে ইজরায়েলের বোমা বর্ষণ চলেছে গাজা ভূখণ্ডে। ইজরায়েলের দাবি, গাজার শাসক হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। তাদের নিশ্চিহ্ন করা হবে। ইজরায়েলি সেনা ও হামাস সংঘর্ষের মাঝে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ্য গাজাবাসী। তাদের অনেকেই দাবি করেছেন যে তারা হামাসকে সমর্থন করেন না।

   

বহু ফিলিস্তিনি যেমন হামাস বিরোধী তেমনই বহু ইহহুদি নাগরিক নিজ দেশ ইজরায়েল সামরিক অভিযানের বিরোধী। তারা ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে ও হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। এই ধরনের বিক্ষোভগুলি চলছে বিভিন্ন দেশে। বিশ্লেষকরা বলছেন ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ কয়েক দশক দমিয়ে রাখার উল্টো ফল দেখা যাচ্ছে ইজরায়েলে। সরকারের ভূমিকা নিজ ধর্মেই বাড়ছে ইহুদি বিদ্বেষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নেতানিয়াহু প্রশাসনের বর্বরতা এই চিত্র আর দেখতে না পেরে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

সম্প্রতি ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলা হয়। গণহত্যা চালিয়েছিল গাজার শাসক গোষ্ঠি হামাস। এর পর থেকেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েল।এতে মারা যাচ্ছে বহু শিশু। গাজার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ধারণ করেছে যে, হাসপাতালগুলোতে লাশ রাখার জায়গা নেই। এই অবস্থায় বিক্ষোভে নেমেছে ইহুদি কমিউনিটি। তারা বলছেন যুগ যুগ ধরে চলা এই হামলা হত্যা ও দখলদারিত্বের এখন অবসান হওয়া উচিত। এই অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ তারা। বিক্ষোভকারী ইহুদিদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নেতানিয়াহু সরকার যে অমানবিক আচরণ করছে তা ধর্মেও নেই। সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র চান বলে জানান বিক্ষোভকারী ইহুদিরা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে ৬০ লক্ষের বেশি ইহুদিকে হত্যা করেছিল হিটলারের নাৎসি সরকার। বিশ্বযুদ্ধ শেষে ইহুদিদের জন্য আরব ভূমির একটি অংশে গঠন করা হয় ইজরায়েল দেশ। এরপর থেকে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের এলাকা বারবার দখল করে ইজরায়েল তার আয়তন বাড়িয়েছে। আর সংকুচিত হতে হতে প্যলেস্টাইন নামে অংশটি গাজা আর ওয়েস্ট ব্যাংক নামে দুটি স্থানে সীমাবদ্ধ। প্যালেস্টাইনকে দেশ হিসেবে স্বীকার করেনা ইজরায়েল ও আমেরিকা। এই বিতর্কে যদিও রাষ্ট্রসংঘের বেশিরভাগ সদস্য দেশ প্যালেস্টাইনের পক্ষে।