বাংলাদেশি ভ্লগার-ইউটিউবার ও হাস্যকৌতুক অভিনেতা হিরো আলমকে (Hero Alom) যেন ভোটের ভূতে ধরেছে। সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বের সর্বত্র জনপ্রিয় হিরো আলম যখনই ভোটে নামেন বিপুল ভোট পান। তবে জয় পান না। অভিযোগ তাঁকে রিগিং করে হারায় সরকারি দল। এবারও তিনি ভোটের লড়াইতে। লড়াই করছেন একলাই।
হিরো আলমকে সম্প্রতি উপনির্বাচনে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। তিনি প্রার্থী হয়ে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের কাছে মার খাচ্ছেন এমন ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হয়েছিল বাংলাদেশের সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগ। দলটির সভানেত্রী খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার উপনির্বাচনের সেই ভোটের ফলাফলে হিরো আলম ভোট প্রাপ্তির নিরিখে আওয়ামী লীগের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন। এবার তিনি জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী।
আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার বগুড়া-৪( কাহালু এবং নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনে লড়ছেন। শুক্রবার নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন। প্রচার চালানোর সময় হিরো আলমকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় করেন। কেউ কেউ তার সঙ্গে কুশল বিনিময় আবার কেউ কেউ তার সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
হিরো আলম বলেন, গোটা বিশ্ব জানে হিরো আলম পাশ করেছিল। তিনি আরও বলেন, ভোটারদের মধ্যে ভয় ঢুকেছে। তাদের দাবি, আমরা কষ্ট করে গেলাম। তোমাকে ভোট দিলাম কিন্তু তোমাকে জয়ী ঘোষণা করা হল না। হিরো আলম বলেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বলেছে সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। তাই ভোটারদের বলছি আগেও আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, আর একবার দিন। দেখুন সরকার আপনাদের অধিকার কেড়ে নেয় কিনা। তাই সাহস দেখিয়ে আবার মাঠে নেমেছি।
তিনি আরও বলেন, অনেক সংগ্রাম ও লড়াই করে হাইকোর্ট থেকে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছি। ৯ মাসের জন্য সুযোগ দিয়ে দেখুন। যদি কাজ করতে ব্যর্থ হই তাহলে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিন। আগে অনেক সুন্দর ও ক্ষমতাবানকে ভোট দিয়েছেন; এবার আমার মতো পাগলকে ভোট দিয়ে দেখুন।
হিরো আলম আশা করেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে গতবারের মতো হামলা বা নির্বাচনে বাধা দিলে ছাড় দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
