Pakistan: নেই দোপাট্টা আছে সাইকেল, ম্যাডেলিনে মাতোয়ারা পাকিস্তান

জার্মান ফ্যাশন ডিজাইনার (German Fashion Designer) ম্যাডলিন হফমান (Madeline Hoffman) সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্তানে৷ সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের ফলে এক…

জার্মান ফ্যাশন ডিজাইনার (German Fashion Designer) ম্যাডলিন হফমান (Madeline Hoffman) সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্তানে৷ সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের ফলে এক ডজনেরও বেশি দেশে ভমণ করে ফেলেছেন। পাকিস্তানের করাচির ভূয়সী প্রসংশা করেছেন তিনি।

গত বছরের অগাস্ট মাসে সিডনি থেকে সাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন ম্যাডলিন। জানতে পারেন তার জন্মের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে তুরস্কের। এরপরই তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ম্যাডিলিন জানান যে তার জন্মের সময়ই তার বাবা-মা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। ম্যাডিলিন জানতেন না তার বাবা তুরস্কের নিবাসী। ২৬ বছর পূর্ণ হওয়ার পর বাবা সম্পর্কে এই তথ্য জানতে পারেন তিনি।

ম্যাডলিন হফমানের জার্মানিতে জন্ম। দশ বছর আগে অস্ত্রেলিয়ার সিডনিতে স্থানান্তর করেন। ৪.৫ মাসে ম্যাডিলিন ১২ টি দেশ পার করে তুরস্কে পৌঁছান এই বছরের জানুয়ারি মাসে। তুরস্কে ম্যাডিলিন তার বাবা এবং তার বাবার দিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।

বাবার সঙ্গে তুরস্কে ম্যাডলিন ৭ সপ্তাহ ছিলেন। এরপর তিনি জর্ডান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর মধ্য দিয়ে পাড়ি দেন সিডনির উদ্দেশ্যে। কিছুদিন আগেই দুবাই থেকে করাচি তে এসেছেন। পাকিস্তান তার ১৮ তম দেশ ম্যাডলিনের ভ্রমণ তালিকায়।

এক সংবাদমাধ্যমকে ম্যাডলিন জানান, “আমি সত্যিই করাচির প্রাণবন্ততা পছন্দ করি। আমি সত্যিই ঐতিহাসিক ভবনগুলো পছন্দ করি যা এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এটি শহরটিকে পুরানো এবং নতুনের মধ্যে এক ধরণের মিশ্রণ দেয়। সব জায়গায় খাবার এবং মানুষ আছে। আমি কিছু স্থানীয় খাবার যেমন আলু পরাঠা, হালওয়া পুরি, এবং প্রচুর চা খেয়েছিলাম। সংস্কৃতি আবিষ্কার করা আশ্চর্যজনক।”

ম্যাডলিন জানান যে অস্ট্রালিয়া আসার আগে সে তার মা এবং দুই বোনের সঙ্গে জার্মানিতে থাকত। ২০২০ সালেই ম্যাডিলিন বাবার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমস্ত প্ল্যানিং ভেস্তে যায় করোনা অতিমারীর জন্য। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই ম্যাডিলিন বেশি বেশি করে সাইকেল চড়া প্র্যাক্টিস করেন। এতটাই ভালো লেগে যায় যে ম্যাডলিন ভাবেন যে এটা নিয়ে কিছু একটা করতে হবে।

বাবার সঙ্গে দেখা করতে একটি সাইকেল নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন ম্যাডলিন। ৫ টি ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে বেড়োন। সামনের দুটো ব্যাগে জামা-কাপড়, মাঝের ব্যাগে টুলস ছিল এবং আরও দুটো বড় ব্যাগ পিছনে। এই পিছনের দুটো ব্যাগের মধ্যে একটায় রয়েছে টেন্ট এবং ঘুমানোর ব্যাগ, আরেকটায় রয়েছে খাবার, খাবারের-বাসন, ইত্যাদি।

করাচি থেকে বেড়োনোর পর ম্যাডলিনের ইচ্ছে রয়েছে ১,২০০ কিমি পেরিয়ে লাহোরে যাবেন। সেখান থেকে ওয়াগাহ সীমান্ত পাড় করে ভারত এবং তারপর নেপাল। এই ভ্রমণের রুটের ফলে ম্যাডলিন পারবেন অন্নপূর্ণা পুরোটা পেরোতে।