Earthquake :আবার সুনামি? পরপর দুবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া

নেপালে ভূমিকম্পের পর এবার কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মাটি। স্থানীয় সময় ১১ টা ৫৩ মিনিটে দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ার মালুকু প্রদেশে। যার জেরে আতঙ্কিত…

earthquake

নেপালে ভূমিকম্পের পর এবার কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মাটি। স্থানীয় সময় ১১ টা ৫৩ মিনিটে দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ার মালুকু প্রদেশে। যার জেরে আতঙ্কিত মানুষ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬.৯ ও ৭। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর নেই।

ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স এজেন্সি জানিয়েছে, বর্তমানে সুনামির কোনো সম্ভাবনা নেই তবে সম্ভাব্য আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

   

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, মালুকু প্রদেশের তুয়াল উপকূলীয় শহর থেকে ৩৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, এর পরে একই এলাকায় ৭.০ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প এবং ৫.১ মাত্রার দুটি কম্পন অনুভূত হয়।এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র আবুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেন, তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জের গ্রামবাসীরা কয়েক মিনিটের জন্য শক্তিশালী কম্পন অনুভূত করে। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী বান্দা সাগরে, যার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার।

ইন্দোনেশিয়া, ২৭০ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার দেশ, প্রায়শই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামি দ্বারা প্রভাবিত হয় কারণ এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকার আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত যা ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির কারণে প্রায় দুই লাখ ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের।