Bangladesh: নরেন্দ্রপুরের আরাভ বাংলাদেশের পুলিশ খুনের আসামী, ‘বন্ধু’ শাকিব-হিরো আলমকে জেরা

দুবাইতে থাকার সময় থেকে ‘ পুলিশ খুনি’ আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের সাথে সংযোগ হয় ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলমও ওই আসামীর ঘনিষ্ঠ।

Accused of police officer murder in Bangladesh is known to be a resident of Narendrapur with Indian passport

ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে দুবাইতে থাকার সময় থেকে বাংলাদেশ ‘পুলিশ খুনি’ আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের সাথে সংযোগ হয় ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলমও ওই আসামীর ঘনিষ্ঠ। তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে শাকিব ও হিরো আলমকে জেরা করতে চলেছে পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুরবাসী হিসেবে ভারতীয় পাসপোর্ট বানায় আরাভ ওরফে রবিউল।

বাংলাদেশে চাঞ্চল্যকর পুলিশ পরিদর্শক মহম্মদ মামুন ইমরান খান খুনের আসামী আরাভ খান (রবিউল)। ২০১৮ সালে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এই অফিসারকে একটি পার্টিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় জড়িত আরাভ ওরফে রবিউল।

তদন্তে উঠে এসেছে রবিউল গোপনে ভারতে ঢুকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা হিসেবে থাকত। এই সময় আরাভ খান নামে জাল পরিচয় দিয়েই ভারতীয় পাসপোর্ট বানায়। তারপর দুবাই চলে যায়। আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মহ: হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, পলাতক আসামির সোনার দোকান উদ্বোধন করতে দুবাই যাওয়া ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান ও ইউটিউবার হিরো আলমকে তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে৷ পুলিশ গোয়েন্দা কর্তা আরও বলেছেন, আরভ খান ওরফে রবিউল একজন খুনি। এটা জানার পরেও তার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেছিলেন শাকিব খান ও হিরো আলম। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের আরও কয়েকজন সেলিব্রেটি ও তারকার সাথে খুনি আরাভ ওরফে রবিউলের যোগাযোগ ছিল। দুবাইতে সে শুরু করেআরাভ জুয়েলারি শো রুম। সেই দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাকিব আল হাসান ও হিরো আলম। সেই অনুষ্ঠানের ছবি দেখে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ চিহ্নিত করে আরাভ ওরফে রবিউলকে। তার সাথে শাকিব আল হাসানের যোগাযোগ কী করে হলো সেই তথ্য অনুসন্ধান করতে থাকে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে পুলিশ অফিসার খুনের আসামী রবিউল ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আরাভ নামের পাসপোর্টধারী। ভুয়ো ভারতীয় পরিচয় নিয়ে সে দুবাইতে থাকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানতে পারে ২০২০ সালে বাংলাদেশি রবিউল ভারত থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে। ইউ ৪৯৮৫৩৮৯ নম্বর লেখা তার ভারতীয় পাসপোর্ট কলকাতা থেকে ইস্যু করা হয়। এতে রবিউলের নাম আরাভ খান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরাভের জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুরে। পাসপোর্টের মেয়াদ ২০৩০সালের ২৭ জুলাই শেষ হবে। তদন্তে আরও উঠে এসেছে আরাভ এখন দুবাইয়ে থাকে। আরব আমিরশাহি সরকার ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দিয়েছে। সেই পারমিটের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ অক্টোবর শেষ হবে।

ভুয়ো তথ্য দিয়ে নিখুঁত ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে নেয় আরাভ ওরফে রবিউল। এত নিখুঁত পাসপোর্ট জাল নাকি আসল তা বুঝতেই পারেনি ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অভিবাসন কর্মীরা। এই পাসপোর্ট নিয়ে ভারত থেকে দুবাইতে থাকছে বাংলাদেশের পুলিশ অফিসার খুনের আসামী।