Kunal Ghosh: জট কাটছে? ব্রাত্যকে নিয়ে ডেরেকের সঙ্গে বৈঠক কুণালের

কুণাল-জট (Kunal Ghosh) কাটতে চলেছে? কুণাল ঘোষকে নিয়ে কি সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে চলেছে তৃণমূল? সেই সম্ভাবনায় জোরালো হয়েছে। দলের অন্দরে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ব্রাত্য…

TMC

কুণাল-জট (Kunal Ghosh) কাটতে চলেছে? কুণাল ঘোষকে নিয়ে কি সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে চলেছে তৃণমূল? সেই সম্ভাবনায় জোরালো হয়েছে। দলের অন্দরে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ব্রাত্য বসুকে নিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কুণাল ঘোষ। আজ, শনিবার দুপুরে বেকবাগানে ডেরেকের বাড়িতে চলছে সেই বৈঠক। এই বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। 

বুধবার উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। ওই অনুষ্ঠানে তাপসের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেস বিবৃতি দিয়ে কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। সেই প্রেস বিবৃতিতে সই ছিল ডেরেকের। এই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খোলা শুরু করেন কুণাল ঘোষ। 

   

তৃণমূল সাংসদ ডেরেককে আক্রমণ করে কুণাল বলেন, কী দোষ করেছি, বুঝতে পারলাম না। আমাকে কি এবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? কার উদ্দেশে কথাগুলো লিখলেন, সেটা একবারও মনে হল না। কী হবে পদ নিয়ে আমার? আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও করব। ডেরেককে ‘ক্যুইজ মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন কুণাল। 

তারপর গত কয়েক দিনে তৃণমূল সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কুণাল। কখনও বলেছেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার এক সদস্য শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। আবার কখনও বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির কথা অনেক আগে থেকেই জানত দল। এই পরিস্থিতিতে কুণালকে দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও সরিয়ে দেয় জোড়াফুল শিবির।

কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি দলের প্রাক্তন মুখপাত্র তথা প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, আমি সবসময় বিরোধী নেতাদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করি। দুই নৌকায় পা দিয়ে চলি না। অনেকে তো বিজেপি নেতাদের নিয়ে গোলগোল করে কথা বলেন। বিজেপি নেতাদের চুপিচুপি ফোনও করি না।

কুণালের একের পর এক মন্তব্যের জেরে তীব্র বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই কুণালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দলের এক নেতা। তাঁকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি কুণাল। এরপর ব্রাত্য বসু কুণালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডেরেকের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন তিনি। অবশেষে ‘বন্ধু’ ব্রাত্যর কথা মতো ডেরেকের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন কুণাল।