টানা ৪০ বছর দাপটের সিঙ্গে থাকার পর এবার স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হল ঋষি সুনাকের দলের। ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দলের আসন্ন নির্বাচনের পথ কঠিন বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দলটি। আসলে স্থানীয় নির্বাচনের বাজে ফলাফলের পর রাতারাতি পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এই নির্বাচনের ফলাফলকে ৪০ বছরের মধ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
কনজারভেটিভ পার্টি বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্ল্যাকপুল সাউথের উপনির্বাচনে টোরিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও উল্টে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের সুবিধা পাওয়ার পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা ঋষি সুনাককে নিজের দলেরই লোকজনের বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে। লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার উপনির্বাচনের ফলাফলকে বিশাল বড় বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি এই ফলাফলকে দলের পক্ষে সার্বিক নির্বাচনী ম্যান্ডেট হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য স্কট লয়েড বেনটনের পদত্যাগের পর ডাকা উপনির্বাচনে লেবার পার্টি ব্ল্যাকপুল সাউথ পার্লামেন্টারি আসনে জয়ী হয়েছে। লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার বলেন, ‘ব্ল্যাকপুল পুরো জাতির কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এমন একটি প্রতিযোগিতা যা ভোটারদের ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টিকে সরাসরি একটি বার্তা পাঠানোর সুযোগ দিয়েছে, পরিবর্তনের পক্ষে বিপুল ভোট দিয়ে দেওয়া একটি বার্তা।’
তিনি বলেন, ঋষি সুনাকের কাছে বার্তাটি পরিষ্কার। ব্ল্যাকপুল সাউথের লেবার প্রার্থী ক্রিস ওয়েব কনজারভেটিভ পার্টির ডেভিড জোনসকে পরাজিত করে বলেন, “পরিবর্তনের সময় এসেছে, সাধারণ নির্বাচনের সময় এসেছে। কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট লেবার পার্টির পক্ষে গেছে।” নির্বাচনী সার্ভে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক জন কার্টিস বলেন, গত ৪০ বছরের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্সগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি।