তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ঝাঁকে ঝঁকে যেমন আবেদন আসছে, তেমনই দলে থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছে বলা এমন বহু বিজেপি (BJP) নেতা তৃণমূলে যোগাযোগ করছেন। রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের এই দলবদলের চমক লোকসভা ভোটের আগে আরও দেখা যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় নেই বাংলার নাম। অথচ প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে কুড়ি জনের নাম ঘোষনা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় থাকা একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধেই দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ চড়েছে। অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলী নেতাদের নিয়েই আত্মহারা।
বিজেপি ও তৃণমূল পরস্পর নেতা সাপ্নাই করছে বলেই কটাক্ষ বাম ও কংগ্রেসের। তাদের কটাক্ষ, দুটো দলের কেউ ঠিক করে জানে না কে কার পক্ষে। বিতর্কের রেশ ছড়িয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদ্রোহে। মমতা নিজেই স্বীকার করেছেন তাঁর ভাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। পরে দিদির রাগ ভাঙাতে বাবুন সামাজিক মাধ্যমে জামান তিনি বিজেপির শিবিরে নেই।
বিজেপির পরবর্তী তালিকায় বাবুনের নাম থাকা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ফের বিজেপি শিবিরে যেতে মরিয়া অর্জুন সিং। বিজেপিতে চলে গেছেন তাপস রায়। বেসুরো তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। আরও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা তৃ়নমূলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। এমন তালিকা আরও বাড়বে বলেই দুই দলের মধ্যেই গুঞ্জন।
দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক বিদ্রোহী। তাদের অন্যতম হুমায়ূন কবীর। জানা যাচ্ছে এই বিদ্রোহে সামিল হতে পারেন আরও এক বিদ্রোহী নেতা করিম চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, মালদার তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।