Amartya Sen: অমর্ত্যকে জমি খালির ১৫ দিনের নোটিশ ধরাল বিশ্বভারতী

অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ফের উচ্ছেদের নোটিশ ধরাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করতে হবে অমর্ত্য সেনকে।

Amartya Sen and Visva Bharati University caught in a land dispute

অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ফের উচ্ছেদের নোটিশ ধরাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করতে হবে অমর্ত্য সেনকে। ৬ মের মধ্যে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী। তবে কী অমর্ত্য সেন এই মুহুর্তে বিদেশে থাকার কারণেই জমি পুনরায় উদ্ধারের চেষ্টা বিশ্বভারতীর? উঠছে প্রশ্ন।

বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ ধারা ৫ এর উপধারা ১এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেরানো হবে ১৩ ডেসিমেল জমি। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে জমি উদ্ধার করা হবে। ৬ মে’র মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর-পশ্চিম কোণে অর্থাৎ এল আর প্লট নম্বর ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসারের।

বিশ্বভারতীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছিল ১৩ ডেসিমেল জমি। বিশ্বভারতীর তরফে চিঠি দিয়ে ১৯ এপ্রিল বেলা ১২ টার সময় অমর্ত্য সেন অথবা তাঁর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকার কারণে কড়া সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।

যদিও অমর্ত্য সেনের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই মুহুর্তে তিনি বিদেশে রয়েছেন। পারিবারিক ভিটে জমি উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁরই প্রাপ্য। এ নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই। জুনের ফেরার পরেই আলোচনায় বসবেন। এমনটাই জানিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবীদ। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনের প্রতীচী ১৯৪৩ সাল থেকে আমার পরিবারের দখলেআমি নিয়মিত ব্যবহার করে আসছি। পারিবারিক ভিটে জমির ধারক আমি এবং এটি হস্তান্তর করা হয়েছিল।

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবা আশুতোষ সেন এবং মা অমৃতা সেনের মৃত্যুর ৮০ বছর পরেও এই জমির ব্যবহার একই রয়েছে। একথা মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন, কোনও হস্তক্ষেপ বা শান্তিভঙ্গের অনুমতি দেওয়া বিশ্বভারতীর উচিত নয়। এরপরেও বিশ্বভারতী রাজি না হলে আগামী জুন মাসে শান্তিনিকেতন ফিরে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।