শুশুনিয়ায় হইহই কাণ্ড! ছোঁড়া হবে একহাজার বীজ বোমা

লক্ষ্মীবার সকালে হঠাৎ পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শুশুনিয়া পাহাড়। সকালে পরপর বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।সকালে এই বিস্ফোরণের আওয়াজে প্রথমে চাঞ্চল্য ছড়ালেও পড়ে জানা গিয়েছে ওই বিস্ফোরণগুলির…

shushuniya

লক্ষ্মীবার সকালে হঠাৎ পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শুশুনিয়া পাহাড়। সকালে পরপর বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।সকালে এই বিস্ফোরণের আওয়াজে প্রথমে চাঞ্চল্য ছড়ালেও পড়ে জানা গিয়েছে ওই বিস্ফোরণগুলির পিছনে হাত রয়েছে বনদপ্তরের। আরও জানা গিয়েছে যে, শুশুনিয়া পাহাড়ে বীজ বোমার ব্যবহার করা হচ্ছিল।

এবার স্কুল পাঠ্যে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহামেডনের ইতিহাস

কিন্তু কেন এই বীজ বোমার ব্যবহার? একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে স্থানীয় মানুষ ও একাধিক পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সহযোগিতায় বন দফতর গোবর, জৈব সার ও মাটি নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে বড় বড় হাত বোমার আকারে মন্ড তৈরি করেছে। সেই গোলাকার মন্ডের ভেতর রেখে দেওয়া হয়েছে এক বা একাধিক গাছের বীজ। পাহাড়ে বর্ষা শুরু হতেই সেই বীজ বোমা ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে রুক্ষ্ম ও ন্যাড়া এলাকাগুলিতে। এই বোমা বৃষ্টির জলে ভেঙে গিয়ে প্রথমে রুক্ষ্ম এলাকার উপর তৈরি করছে গোবর ও জৈব সার সমৃদ্ধ মাটির একটি স্তর। সেই স্তরে সহজেই বোমার ভিতরে থাকা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে জন্ম দিচ্ছে চারাগাছ। বন দফতর জানিয়েছে বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় ভূমিকা নেয় বট ও অশ্বত্থ গাছ।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মামলা: মমতাকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisements

গত কয়েকবছর আগে পর্যন্ত স্থানীয় পাথর খোদাই শিল্পীরা পাহাড় থেকে লাগাতার পাথর সংগ্রহ করতেন। এরফলে পাহাড়ের গায়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। ধ্বংস হয় ওই এলাকার বনভূমি। এছাড়াও প্রায় প্রতি বছর কার্যত নিয়ম করে আগুন লাগছে শুশুনিয়া পাহাড়ের জঙ্গলে। ফলে ক্রমশ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বনভূমি। এই অবস্থায় পাহাড়ের ন্যাড়া অংশ ফের সবুজে ঢাকতে গত বছর থেকেই নয়া পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছে বন দফতর।

শুশুনিয়া পাহাড়ের রুক্ষ্ম এলাকা সবুজে ঢাকতে গত বছরই পরীক্ষামূলকভাবে বীজ বোমার ব্যবহার করেছিল বন দফতর। পরীক্ষামূলক সেই উদ্যোগ সফল হওয়ায় এবার আরও বেশি সংখ্যক বীজ বোমা তৈরি করে তা পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে নিক্ষেপ করা শুরু করল বন দফতর। বন দফতর জানিয়েছে সব মিলিয়ে চলতি বছর এক হাজার বীজ বোমা ছোঁড়া হবে শুশুনিয়া পাহাড়ে।