মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতা, বিধায়কদের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের করা ‘মানহানি’ মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিন বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। অন্তবর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করতে পারবেন না। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং শাসক দলের সদ্য নির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকারকেও।
কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়েও এটা করা যায় না। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতা, বিদায়কদের মন্তব্যে তাঁর মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকাই উচিত। ফলে এই পর্যায়েই অন্তর্বর্তিকালীন আদেশ জারি করা হচ্ছে। না হলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি উৎসাহ করা হবে।
রবিবার দুপুরে বিরাট কাণ্ড ঘটাবেন শুভেন্দু! রাজভবনের সামনে থেকে দিলেন বিরাট বার্তা
আপাতত ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রেয়াত হোসেন সরকার রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অমর্যাদাকর কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।
তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থীর শপথকে কেন্দ্র করে জটিলতা বাড়ে। রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘রাজভবনে যা চলছে তাতে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে’। এই ভয়ের কথা জানিয়েছিলেন, সায়ন্তিকা ও রেয়াত-ও। যা অনুসরণ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। তাতেই অপমানিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল।