Kunal Ghosh: তৃণমূলপন্থী শুভাপ্রসন্নের সঙ্গে বাকযুদ্ধে মুখপাত্র কুণাল

মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শুভাপ্রসন্নের এই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, দলের উচিত শুভাপ্রসন্নর কি লাগবে সেদিকে নজর দেওয়া। এবার কুণালকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন বুদ্ধিজীবী

Kunal Ghosh

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তাঁর পানি ও দাওয়াত নিয়ে করা মন্তব্যের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরে সেই তৃণমূলপন্থী শুভাপ্রসন্নকে (Shubhaprasanna) বলতে শোনা যায়, রাজনৈতিক অসুবিধার কারণে একথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শুভাপ্রসন্নের এই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, দলের উচিত শুভাপ্রসন্নর কি লাগবে সেদিকে নজর দেওয়া। এবার কুণালকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন বুদ্ধিজীবী

তাঁর কথায়, কুণাল আমার অতি কাছের ও পরিচিত। ওকে আমি আর কী বা বলব? আমি কী করেছি, বা কী পেয়েছি, তা সবাই জানে। এ বিষয়ে এর থেকে বেশি কিছু আর আমার বলার নেই। এরপরেই খানিকটা আক্ষেপের সুরে বলতে শোনা যায়, আমি যা ত্যাগ করেছি, সেটা সবাই জানে। ৭৬ বছর বয়সে এসে আর কি নেবো?

   

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে ‘পানি’ ও ‘দাওয়াত’ নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভাপ্রসন্নের মধ্যে। দুই শব্দে আপত্তি জানান শুভাপ্রসন্ন। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখা ছিল, দাওয়াত শব্দটি বাংলাদেশের কথা। যাঁরা ওপার বাংলা থেকে এসেছেন, তাঁরা ওই ভাষাকেই গ্রহণ করেছেন। মমতার কথায়, ‘আমি মাতৃভাষাকে চেঞ্জ করতে পারি না। যেটা শিখে এসেছে, সেটা চেঞ্জ করবে কীভাবে? তৃণমূলপন্থী শুভাপ্রসন্নর মন্তব্য ঘিরে বিভিন্ন মহলে শোরগোল হয়েছে।

শুভাপ্রসন্নের মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, শুভাপ্রসন্ন যদি সত্যিকারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভানুধ্যায়ী হন, তাহলে তাঁর উচিত এই অবাঞ্ছিত মন্তব্যগুলি বন্ধ করা। বাংলা ভাষা একটি স্রোত। সংস্কৃত ও অন্যান্য ভাষা থেকেও বিভিন্ন শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে চলে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, যত সময় এগোচ্ছে, আমাদের কথাবার্তার মধ্যে পরিবর্তন আসছে, যা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাষায় প্রয়োগ হয়ে থাকে। তা আমরা উদারমনে গ্রহণ করি। আমাদের পাশে বাংলাদেশের মানুষ কিছু নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করেন, যা আমরা বলি না। তাহলে কি ওনারা বাঙালি নন? এরপরেই তাঁর মন্তব্য ছিল, আমাদের দলের কারও ওনার সঙ্গে কথা বলা উচিত, ওনার কোনও জমি বা কমিটির পদ লাগবে কি না, তাহলে সব ঝামেলাগুলো মিটে যায়।