অদৃশ‌্য ভোটার! উধাও আস্ত একটা বুথ

Missing Voter! An Entire Booth Disappears

এ রাজ্যে SIR চালুর ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও গতিশীল করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ শুরু করেননি। এমন সময়ই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার (North 24 Pargana)  অশোকনগর বিধানসভার অধীনে গুমা–১ পঞ্চায়েত এলাকার ৬১ নম্বর বুথের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে ৭১ জন ভোটারের নাম উধাও হওয়ায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisements

বিশেষ করে ২০০২ সালের এই বুথের পুরোনো তালিকাটি কমিশনের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল থেকেও হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। বিশেষত ৫৪ নম্বর বুথ, যা পুরনো হিসেবে চিহ্নিত ছিল, সেটিও এখন আর অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি জানার পরেই অশোকনগরের বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজের বিধায়ক প্যাডে জেলাশাসককে চিঠি লিখে উভয় বুথের হার্ড কপি পুনরুদ্ধারের দাবি জানান।

   

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটার তালিকার এমন অনিয়ম প্রশাসনিক ত্রুটি বা নজরদারি ঘাটতির প্রতিফলন হতে পারে। বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার যাচাই শুরু না করায় এমন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের বিশ্বাসহীনতা ও উদ্বেগ বেড়েছে।

গুমা–১ পঞ্চায়েত এলাকার ভোটাররা এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি তালিকা অনলাইনে উধাও হয়ে যায়, তাহলে নির্বাচনের ন্যায়পরায়ণতা কতটা নিশ্চিত করা সম্ভব?” স্থানীয় প্রশাসন এখন এই বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিশেষ দল গঠন করেছে।

Advertisements

অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এই ধরনের অনিয়ম কোন ভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “ভোটারদের তালিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও যাচাইযোগ্য হতে হবে। হার্ড কপি পুনরুদ্ধার না হলে কোনও কেন্দ্রে ভোটের কার্যক্রম শুরু করা উচিত নয়।”

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে কমিশনের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, তারা ইতিমধ্যেই উভয় বুথের তথ্য পুনঃপ্রকাশ ও যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ভোটারদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি করতে পারে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যদিকে, ভোটারদের সচেতনতা ও তথ্য যাচাই নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তালিকা অনলাইনে উধাও হলেও, হার্ড কপি থাকলে ভোটের ন্যায়পরায়ণতা রক্ষা করা সম্ভব।