Rampurhat Massacre: গণহত্যার গ্রাম বগটুইতে মানুষ পোড়ানোর গন্ধ মিশেছে ঈদে

চাঁদ দেখা গেছে সোমবার। মঙ্গলে ঈদ উল ফিতর। খুশির উৎসব বীরভূমের বগটুই গ্রামে ঢোকেনি। রাজ্যে বৃহত্তম সংখ্যালঘু গণহত্যার কেন্দ্র রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। ভয়াবহ ঘটনার (Rampurhat…

চাঁদ দেখা গেছে সোমবার। মঙ্গলে ঈদ উল ফিতর। খুশির উৎসব বীরভূমের বগটুই গ্রামে ঢোকেনি। রাজ্যে বৃহত্তম সংখ্যালঘু গণহত্যার কেন্দ্র রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। ভয়াবহ ঘটনার (Rampurhat Massacre) পর থেকে এলাকাবাসী বুঝেছেন মুখ খুললেই ‘বিপদ’। উৎসবের দিনে তাই ভয়। এমনিতে বগটুই সেই গণহত্যার রাত থেকে ভয়ে কুঁকড়ে আছে। সিবিআই, পুলিশ দেখে আরও ভয়। সঙ্গোপনে কেউ কেউ জানাচ্ছেন, ভয়ে ভয়ে আছি। কী জানি কী হয়।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

মঙ্গলবার রাজ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় সংখ্যালঘু মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ঈদ উল ফিতর উৎসব পালন হচ্ছে। মুসলিম অধ্যুষিত বীরভূমের বগটুই গ্রামে ঈদের আনন্দ নেই। সরকারি হিসেবে এই গ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়। তবে বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১২ জন। কিছু দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

গত ২১ মার্চ রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় স্থানীয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। অভিযোগ, বালি ও পাথর পাচারের বখরা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলে এই খুন হয়। ভাদু শেখ খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে রাতে। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

Rampurhat Files,Rampurhat , burning, Bogtui village

২১ মার্চের ভয়াবহ রাতের পর থেকে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে বগটুই গ্রামে। এই ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক আলোড়ন দেশজুড়ে। পরিস্থিতি বুঝে ঘচনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও নিহতদের পরিবারে চাকরির ব্যবস্থা করেন।

বগটুই গ্রামের গণহত্যায় নিহতরা সবাই সংখ্যালঘু। সবাই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। অভিযোগ, এলাকার বালি ও পাথর বেআইনি চালানে জড়িত তৃণমূল নেতারা গোষ্ঠি রাজনীতি ধরে রাখতে মরিয়া। চালানের বখরা নিয়ে পারস্পরিক সংঘর্ষের ফলে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

বগটুই গণহত্যার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। জেরার পর জেরায় উঠে এসেছে তথ্য। এই মামলায় নিহতদের পরিবারের কয়েকজনের অভিযোগ ছিল, হামলাকারীরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা। এদিকে বগটুইয়ের সট সার্কিট থেকে আগুন ছড়ায় বলে বিতর্কে জড়ান বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার ভূমিকা সন্দেহজন বলে মনে করছে সিবিআই। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআই জেরার আগেই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আপাতত তিনি কলকাতায় নিজ ফ্ল্যাটে আছেন। সিবিআই বগটুই মামলায় তাকে জেরা করতে চায়।