বীরভূম থেকে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক মানুষ পোড়ার গন্ধ ছড়াল। পরিস্থিতি তীব্র উত্তপ্ত। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যা (Rampurhat Files) ঘিরে রাজ্য আলোড়িত। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে আসছে এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে প্রথম ‘গণহত্যা’। যদিও রাজ্য সরকার এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই দাবি করেছে।
রামপুরহাটের ঘটনায় পুড়ে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে দশ বলে এলাকাবাসীর দাবি। সরকারি হিসেবে নয় জন মৃত। বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন বড়সড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে রামপুরহাটে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রামপুরহাটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, গত একমাসে রাজ্য জুড়ে ৬০ জন রাজনৈতিক কারণে মৃত। অবিলম্বে রাজ্যে ৩৬৫ ধারা জারি হোক।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, এলাকায় বালি ও পাথর খাদানের বখরা নিয়ে বনিবনা ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই কারণে খুন করা হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর জেরে হয় হামলা। ঘরে ঘরে আগুন ধরানো হয়। পুড়ে মৃত্যু হয় গ্রামবাসীদের।
রামপুরহাটের ঘটনায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার এই মন্তব্যের পর আরও বিতর্কে জড়ায় টিএমসি।
বগটু়ই গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ। উপপ্রধান কে খুনের রেশ ধরে সোমবার রাতে এখানেই পুড়িয়ে খুন করানোর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ পোড়া দেহগুলি উদ্ধার করে। রামপুরহাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশু, ৬ মহিলা সহ মোট ৯ জন পুড়ে মৃত। তবে মৃতের সংখ্যা দশ বলেই দাবি করছেন এলাকাবাসী। কারোর দাবি, দশ নয় মৃত ১২ জন।
যেভাবে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আগুন লেগেছিল তা পরিকল্পিত বলেই অভিযোগ। যদিও এলাকাবাসীরা ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।