Rampurhat Files: রামপুরহাটে বাঙালি ‘হত্যা’র প্রতিবাদে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল বাংলাপক্ষ

এক বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাপক্ষ। জয় বাংলা স্লোগান বা উত্তরপ্রদেশ-বিহারের বাসিন্দাদের বহিরাগত বলে তোপ দেওয়াকে সমর্থন জানিয়েছিল ভারতে বাঙালির জাতীয়…

bangla pokhho spoke about rampurhat incident

এক বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাপক্ষ। জয় বাংলা স্লোগান বা উত্তরপ্রদেশ-বিহারের বাসিন্দাদের বহিরাগত বলে তোপ দেওয়াকে সমর্থন জানিয়েছিল ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন। যদিও পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নানাবিধ কীর্তির বিরোধিতা করেছে তারা। তেমনই রামপুরহাটের (Rampurhat) ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাল ওই সংগঠন।

সোমবার ভরসন্ধ্যায় বোমা মেরে খুন করা হয় রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে বগটুই গ্রামে। যার জেরে মাঝরাতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরানোর অভিযোগওঠে। বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে রয়েছে সমগ্র বাংলা।

যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাপক্ষের শীর্ষস্তরের নেতা কৌশিক মাইতি। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন শাসক তৃণমূলকে। বিজেপি বিরোধিতার নামে তৃণমূলকে সমর্থন করলেও রামপুরহাটের মতো ঘটনা মেনে নেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়েছেন কৌশিক। তাঁর কথায়, “বিজেপিকে হারাতে চাই, রুখতে চাই। ২০২১ এর আগে ঝুঁকি নিয়ে লড়েছি। তাই বলে কি তৃণমূলের রাজত্বে রামপুরহাটে গণহত্যাও মেনে নিতে হবে? মানতে পারলাম না। ধিক্কার।”

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও তৃণমূলের সমালোচনা শোনা গিয়েছিল বাংলাপক্ষের গলায়। তারপরে পুরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অবাঙালিদের প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিল তারা। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহার তৃণমূলের প্রার্থীপদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বাংলাপক্ষ।