Rampurhat Files: ‘রামপুরহাট গণহত্যা’ রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি বিজেপির

ক্রমশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এ কই দিনে জোড়া কাউন্সিলর খুনের পরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। এবার বীরভূমে খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আর তারপর…

Rampurhat Files: bjp demands 356 in bengal on rampurhat issue

ক্রমশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এ কই দিনে জোড়া কাউন্সিলর খুনের পরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। এবার বীরভূমে খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আর তারপর থেকেই উতপ্ত হয়ে রয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat Files)। একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণে মৃত্যূ হয়েছে ১২ জনের। যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এই ঘটনার পরেই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে বিজেপি।

রাজ্যের দুই প্রান্তে দুই কাউন্সিলর খুনের পোর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। এরপরে উপপ্রধান খুন এবং তার পরের অবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সোমবার ভরসন্ধ্যায় বোমা মেরে খুন করা হয় রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন ভাদু শেখ। ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে বগটুই গ্রামে। যার জেরে মাঝরাতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরানোর অভিযোগওঠে।

বীরভূমের রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সারা রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাতারাতি ১০টি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হল, জ্বলজ্যান্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারা হল। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যজুড়ে অরাজকতা, ৩৫৬-র দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এই রাজ্যে বারবার উত্তপ্রদেশের প্রসঙ্গ টানা হয়, তাহলে এখানে কী হচ্ছে!”

এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ” রামপুরহাটের ঘটনায় সরকার তৎপরতার সঙ্গে যা যা করার করছে। ওসি ক্লোজড। এসডিপিও অপসারিত। তিন সদস্যের সিট: জ্ঞানবন্ত সিং, মীরজ খালিদ, সঞ্জয় সিং। যথাযথ তদন্ত হবে। দুর্ঘটনা, না আগের খুনের প্রতিক্রিয়া, না ষড়যন্ত্র, সবটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।”