Rampurhat Massacre : ‘রামপুরহাট গণহত্যা’ দুই শিশু, ৬ মহিলা সহ পোড়া দেহগুলি উদ্ধার

ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী রামপুরহাট। ‘তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের’ জেরে গণহত্যা (Rampurhat Massacre) সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। প্রবল রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে…

ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী রামপুরহাট। ‘তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের’ জেরে গণহত্যা (Rampurhat Massacre) সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। প্রবল রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি ঘটমাস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ফিরহাদ ছাড়া আর কারোর উপর ভরসা নেই মমতার। এমনকি দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকেও ভরসা করেননি মমতা।

এদিকে রামপুরহাটের বগটু়ই গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এখানেই পুড়িয়ে খুন করানোর ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ পোড়া দেহগুলি উদ্ধার করে। রামপুরহাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশু, ৬ মহিলা সহ মোট ৯ জন পুড়ে মৃত। তবে মৃতের সংখ্যা দশ বলেই দাবি করছেন এলাকাবাসী। কারোর দাবি, দশ নয় মৃত ১২ জন।

রামপুরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র বিতর্কের কেন্দ্রে। দলীয় জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের মতো তিনিও এই মুহূর্তে মমতার ‘ব্যাডবুকে’। তিনি জানান,ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই দ্রুত কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বীরভূম আসবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সোমবার রাতে বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তার বাড়ি বগটুই গ্রামে। এই ঘটনার পর রাতভর তাণ্ডব চলে এলাকায়। গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার পরিস্থিতি এমন যে পুরো গ্রামে মৃত্যু মিছিল। মঙ্গলবার গ্রাম থেকে পরপর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। অভিযোগ একপক্ষ অন্য পক্ষকে খুন করেছে।