পুলিশের গায়ে বোম মারার নির্দেশ দেওয়া তৃণমূলের জেলা সভাপতির এলাকা উত্তপ্ত হয়েছে দলেরই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে। তৃণমূলের উপপ্রধান খুন হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat Clash)। একের পোর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই শিশু-সহ ১২ জনের। যদিও আগুন লাগিয়ে দেওয়া বা হিংসার অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তৃণমূল জমানায় এত বড় ঘটনা আগে ঘটেনি। যদিও বিষয়টি নিছকই দুর্ঘটনা বলে দাবি করছেন কেষ্ট। অনুব্রতবাবু বলেছেন, “আমি সকালে খবর পেয়েছি। একটি বাড়িতেই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” তাঁর মতে, “শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে বাড়িতে আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একাধিক বাড়িতে। একটি বাড়িতেই সাত জন ছিল। শর্ট সার্কিট হয়েছে কি না আগে দেখে নিক। কারণ টিভি ফেটেছে এটা বলা হচ্ছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে সোমবার রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তার পর বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চলে। আগুন লাগানো হয় একাধিক বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে অন্তত ১০টি ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল। যদিও অনুব্রত বলছেন, ‘‘তিন, চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে দমকল গিয়ে আগুন নেভানো শুরু করে। পুলিশ পিকেটিং ছিল।পুলিশ তদন্ত করছে।’’
অন্যদিকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সারা রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাতারাতি ১০টি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হল, জ্বলজ্যান্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারা হল। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যজুড়ে অরাজকতা, ৩৫৬-র দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি’