বাম আমলের বেআইনি কয়লা কারবারি রাজু ঝা ফুলে ফেঁপে ওঠে ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আমলে। তবে বাম বা তৃণমূল কোনওপক্ষেই সরাসরি দেখা যায়নি তাকে। খনি-শিল্পাঞ্চলের গুঞ্জন কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) ‘অনেক আসল কথা’ জানত রাজু ঝা। তাকে খুন (Raju Jha Murder) করার পিছনে কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা নয়তো? এই প্রশ্ন উঠছে।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয়েছে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে। তাকে খুনের পর থেকে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থেকে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ পর্যন্ত কয়লার কালো দুনিয়া সরগরম। রাজনৈতিক মহলে লেগেছে বিরাট ঝটকা।
দুর্গাপুরের কোটিপতি কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝার গুলিবিদ্ধ দেহ দেখার পর পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির নেতারা একবাক্যে বলতে শুরু করেছেন, ও আর দলের সাথে ছিল না।
রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে। তাকে খুনের পর থেকেই সরগরম দুই জেলা। যেহেতু নিহত রাজু ঝা বিজেপির মঞ্চে উঠে পতাকা নিয়েছিল ফলে বিজেপির অস্বস্তি তীব্র। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় প্রতিবেশি ঝাড়খন্ডেও রাজু ঝা’র পরিচিতি ‘কয়লা মাফিয়া’ হিসেবে।
কয়লা ব্যবসায়ী থেকে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা গত বিধানসভা ভোটের আগে সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। সেই প্রথম তার প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নামা। বিজেপির হয়ে প্রচারে তখন দুর্গাপুর সহ খনি-শিল্পাঞ্চলের একটাই স্লোগান ‘রাজু বনগেয়া জেন্টেলম্যান।’ জনপ্রিয় হিন্দি ছবির বিখ্যাত গানের সুরে রাজু ঝা’র অনুগামীরা মিছিল করত বিজেপির পতাকা নিয়ে। তবে বিজেপি সরকার গড়তে না পারায় রাজু ঝা দলীয় সংস্রব থেকে দূরে থাকতে শুরু করে। তার এই অবস্থান থেকেই এখন পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতারা বলছেন, ও দলের সাথে ছিল না।
অভিযোগ, নিহত রাজু ঝা নির্বাচনের সময় বিজেপির হয়ে বিপুল টাকা খরচ করেছিল বলে চর্চিত। তাকে বিজেপিতে আনার মূলে টাকার যোগানদার বলেও অভিযোগ আছে। এমনই কোটিপতি কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা’র সম্পর্কে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই জনিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের আগে অনেকেই দলে এসেছিল। তার একজন রাজু ঝা। তবে ভোটের পর থেকে ও আর তেমন যোগাযোগ রাখেনি।