Purba Bardhaman: মমতার প্রিয় বিশ্ববাংলা উপড়ে ফেলল ‘মারমুখী’ সিপিআইএম

তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) সহ রাজ্যের সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় ও রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা (Biswabangla)  ভাস্কর্য উপড়ে ফেলে…

তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) সহ রাজ্যের সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় ও রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা (Biswabangla)  ভাস্কর্য উপড়ে ফেলে দিলেন সিপিআইএম  (CPIM) সমর্থকরা।

   

বর্ধমান (Bardhaman)  শহরে এমন ঘটনায়  রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। বাম সমর্থকদের উগ্রমূর্তি দেখে স্তম্ভিত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আক্রাম্ত বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খোকন দাসের একটি কার্যালয়।

পূর্ব ঘোষিত আইন অমান্য কর্মসূচি নিয়ে বুধবার বর্ধমান শহরে বিরাট মিছিল করেন সিপিআইএম সহ বিভিন্ন বাম দলের সমর্থকরা। ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ বর্ধমানের নেতারা। বর্ধমানের সবথেকে গুরুত্ব মোড় কার্জন গেট এলাকায় সম্প্রতি বসানো বিশ্ব বাংলা ভাস্কর্যের উপর রোষ গিয়ে পড়ে বাম সমর্থকদের। মিছিল থেকে সেই ভাস্কর্য উপড়ে ফেলে দেন তারা।

বাম সমর্থকদের দাবি, রাজ্যবাসীর টাকা চুরি করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কোটিপতি। সিবিআই ও ইডি অভিযান চলছে। জনতা ক্ষুব্ধ। তারই বহি:প্রকাশ ঘটেছে।

বিশ্ব বাংলা লোগো বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এলাকার সামলে বসানো নিয়ে বিতর্ক চলেছে। অভিযোহ, এর ফলে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের সৌন্দর্যে ধাক্কা লাগছে। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে কার্জন গেটের সামলে বসানো হয়েছিল বিশ্ব বাংলা ভাস্কর্য।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মিছিল থেকে হামলা হয়েছে বিধায়কের একটি কার্যালয়ে। আর সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, আইন অমান্য মিছিলে প্রথমে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়েছে।  সেলিম তাঁর ভাষণে বলেন, সব চোরেদের ধরতে হবে। রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে লাগামছাড়া দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলনের শহিদ দিন উপলক্ষে বুধবার রাজ্য জুড়ে আইন অমান্য কর্মসূচি নিয়েছে সিপিআইএম। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন বিরাট বাম মিছিল বর্ধমান শহরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় কার্জন গেট এলাকায় আইন অমান্য কর্মসূচির পালন করে।

সিপিআইএম সমর্থকরা মিছিল করো জেলা শাসকের কার্যালয়ের দিকে যান। মিছিল আটকাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল জেলা প্রশাসন। পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। কিছু বাম সমর্থক ইট ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ জলকামান ছোঁড়ে। কাঁদানে গ্যাস চার্জ করে। কার্জন গেট এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

দুটি দিক থেকে বর্ধমান শহরের মধ্যে প্রবেশ করে বামেদের আইন অমান্য মিছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বাম কর্মীদের আটকানোর জন্য ছিল ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেডের ব্যবস্থা। কিন্তু মিছিল আটকানো সম্ভব হয়নি। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোঁড়ে। এমনটাই অভিযাওগ উঠেছে। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।  ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি গোটা বর্ধমান শহর জুড়ে। একাধিক সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনকি পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা চলে বলেও অভিযোগ।