Ganesh Chaturthi: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা মিলেমিশে একাকার গণেশ পুজোয়

শুধুমাত্র নব্বই মিনিটের বল দখলের লড়াই’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান দলের মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা। একটা আবেগ সকল সময়ে কাজ করে দু’দলের কর্তা,আধা কর্তা,সমর্থকদের মধ্যে।…

East Bengal and Mohun Bagan

শুধুমাত্র নব্বই মিনিটের বল দখলের লড়াই’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান দলের মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা। একটা আবেগ সকল সময়ে কাজ করে দু’দলের কর্তা,আধা কর্তা,সমর্থকদের মধ্যে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যে ঋতুই হোক না কেন প্রিয় দলকে নিয়ে এই আবেগের ছটা ধরা দেয় আনাচে কানাচেতে।

বুধবার,গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi) দিনে মিলেমিশে এক হয়ে গেল বাঙালির আবেগের সবুজ মেরুন ও লাল হলুদ। ভেদাভেদ রইলো না মাঠের বাইরে, এই দৃশ্যগুলোই অমরত্ব দান করেছে বাঙালির ফুটবলপ্রেমকে। বাঙালি চিরকালই ইলিশ আর চিংড়ির লড়াই দেখে আসছে। আর এই লড়াইতে বাঙালি চাক না চাক ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান লাল হলুদ এবং সবুজ মেরুন জার্সি নিয়ে তর্কের তুফান যখন উঠবে বাঙালিকে আর কে পায়। সমস্ত ভুলে যেন মাঠের লড়াই চায়ের দোকানের টেবিলে এসে হাজির।

তর্কের তুফান যাই হোক না কেন গণেশ পুজো ফের একবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে এক সূত্রে বেধে ফেলেছে। যখনই কোনও বিপর্যয় নেমে এসেছে ইস্ট-মোহন দুর্গতগ্রস্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।একই কথা খাটে মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ক্ষেত্রে। কলকাতার এই তিন জায়ান্ট ক্লাব কখনই পিছু হঠে আসেনি বিপর্যয় কালে।সীমিত ক্ষমতাতে নিজেদের আপ্রাণ চেষ্টার কসুর করতে কার্পণ্য করেনি, যোগ্য সঙ্গ জুগিয়েছে তিন প্রধানের সমর্থককূল।

স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক হিন্দু মুসলিম ঐক্যকে সুদৃঢ়ভাবে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে আরও বেশি করে সংঘবদ্ধ করে সমূলে ব্রিটিশ শাসনকে ভারত থেকে তাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে যে উৎসবের চলন করেছিলেন,তা আজকের তারিখে সর্বজনীনতার রঙ মেলে ধরেছে।এই সর্বজনীনতার আবেগে বাদ যায়নি অগণিত ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান সমর্থকরা। সমস্ত ভেদাভেদ, আকছা আকছি ভুলে গিয়ে লাল হলুদ আর সবুজ মেরুন সমর্থকরা মেতে উঠেছে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে।