Purba Bardhaman: সিপিআইএমের ‘হামলা ও তাণ্ডব’ আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়কের অফিস, বর্ধমান রণক্ষেত্র

আইন অমান্যের নামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ সিপিআইএমের (CPIM) বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman)  জেলা সদর বর্ধমান (Bardhaman) শহরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কার্জনগেট এলাকায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট…

আইন অমান্যের নামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ সিপিআইএমের (CPIM) বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman)  জেলা সদর বর্ধমান (Bardhaman) শহরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কার্জনগেট এলাকায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রথম দিকে সক্রিয় হলেও পরে রণে ভঙ্গ দেয়।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

আইন অমান্য কর্মসূচি থেকে বাম সমর্থকরা বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খোকন দাসের বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহল সরগরম। সিপিআইএম সমর্থকরা কার্জন গেট চত্বরে সম্প্রতি বসানো বিশ্ববাংলা ভাস্কর্য উপড়ে ফেলে।সিপিআইএমের আইন অমান্য কর্মসূচির জেরে প্রবল উত্তপ্ত বর্ধমান শহর।

১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলনের শহিদ দিন উপলক্ষে বুধবার রাজ্য জুড়ে আইন অমান্য কর্মসূচি নিয়েছে সিপিআইএম। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন বিরাট বাম মিছিল বর্ধমান শহরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় কার্জন গেট এলাকায় আইন অমান্য কর্মসূচির পালন করে।

সিপিআইএম সমর্থকরা মিছিল করো জেলা শাসকের কার্যালয়ের দিকে যান। মিছিল আটকাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল জেলা প্রশাসন। পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। কিছু বাম সমর্থক ইট ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ জলকামান ছোঁড়ে। কাঁদানে গ্যাস চার্জ করে। কার্জন গেট এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁর ভাষণে বলেন, সব চোরেদের ধরতে হবে। রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে লাগামছাড়া দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

দুটি দিক থেকে বর্ধমান শহরের মধ্যে প্রবেশ করে বামেদের আইন অমান্য মিছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বাম কর্মীদের আটকানোর জন্য ছিল ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেডের ব্যবস্থা। কিন্তু মিছিল আটকানো সম্ভব হয়নি। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোঁড়ে। এমনটাই অভিযাওগ উঠেছে। যার জেরে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।  ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি গোটা বর্ধমান শহর জুড়ে। একাধিক সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনকি পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা চলে বলেও অভিযোগ।