বকেয়া ডিএর দাবিতে (DA movement) ২০ দিনের পার করে আন্দোলন জারি রেখেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শাসক দলের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে, সমস্ত কিছু ঠিক রয়েছে৷ আন্দোলনকে মদত করছে বিশেষ রাজনৈতিক দল৷ পাল্টা অরাজনৈতিক তকমা নিয়ে সরকারকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আন্দোলনকারীরা৷ বৃহস্পতিবার সেটা আর থাকল না৷ আন্দোলনকারীদের তরফে রাজভবন যাত্রায় দেখা গেল বিজেপি সাংসদ ও ‘শিক্ষক’ জগন্নাথ সরকারকে (BJP MP Jagannath Sarkar)৷
আরও পড়ুন: Dearness Allowance: আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ডিএ না পেলে পঞ্চায়েতে কাজ না করার হুঁশিয়ারি
ডিএ নিয়ে বাজেট অধিবেশনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ঘোষণার পর আন্দোলনের আগুন ঘি পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করতে নারাজ। সাফ বার্তা দিয়েছেন অনশনকারী সরকারি কর্মচারীরা। ২০ ও ২১ তারিখ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনরত একাধিক সংগঠনের তরফে৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে দরবার করেন আন্দোলনকারীরা৷
আরও পড়ুন: West Bengal Assembly: বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তব্য ইস্যুতে ‘বিস্ফোরক’ শুভেন্দু
পরে আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখায়নি। এখন রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইছেন তাঁরা৷ অনশনরত কর্মচারীদের মধ্যে একাধিকজন অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাকে অমানবিক বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: Government employees: ‘৩ শতাংশ ডিএ ভিক্ষা মানছি না, অচল হবে সরকারি কাজ’
এখানেই শেষ নয়, আগামী কয়েক দফাতে কর্মবিরতি ঘোষণা করতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীরা৷ যার জেরে সরকারি কাজে বিরাট প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে নারাজ তাঁরা। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা৷ ১৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট ডিএ মামলা নিয়ে কী রায় দেয়? সরকার এরপর কী পদক্ষেপ নেয়? এখন সেটাই দেখার৷