Coochbehar: গ্রাম বাংলার ভোটে গণতন্ত্র! বুথে পড়ে আছে লাস, ‘ঘুমোচ্ছে কমিশন’

রক্তাক্ত দেহটা বুথের মধ্যে পড়ে আছে। রক্তে ভেসে গেছে বুথ। দু একজন উঁকি মেরে চলে গেলেন। পুলিশ নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। চাপা থমথমে পরিস্থিতি। বাইরে…

রক্তাক্ত দেহটা বুথের মধ্যে পড়ে আছে। রক্তে ভেসে গেছে বুথ। দু একজন উঁকি মেরে চলে গেলেন। পুলিশ নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। চাপা থমথমে পরিস্থিতি। বাইরে কয়েকজন। রক্তাক্ত দেহটা নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। পঞ্চায়েত ভোটে এমনই ছবি ধরা পড়ল। ঘটনাস্থল কোচবিহার জেলা। যেখানে রাজ্যপাল গিয়ে সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় ঘুরে কড়া হাতে ভোট হবে বলেছিলেন। অভিযোগ তিনি গরম বার্তা দিলেও নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপি যেমন ভোট সন্ত্রাস নিয়ে সরব তেমনই বাম ও কংগ্রেস সরব। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা না পাওয়া নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

   

পঞ্চায়েত ভোট শুরু হতেই কোচবিহারের ফলিমারিতে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে গুলি করে খুন করা হয়। মৃতের নাম মাধব বিশ্বাস। অভিযোগের তির তৃণমূল-আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুথে ঢুকে গুলি করার সময় পুলিশ কী করছিল? উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার ছবি তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসি।

ভোটের আগে থেকে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। ভোটের দিন সকাল থেকেই রক্তাক্ত। গুলিবিদ্ধ ও নিহতের ঘটনায় উত্তরবঙ্গে কোচবিহার বারবার রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলায় প্রতিবেশি দেশ থেকে ভাড়া করা খুনি এনে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি দুপক্ষ। কোচবিহারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চরমে। এই জেলায় শাসক তৃ়নমূল বনাম বিরোধী বিজেপির সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতি। দুই শিবিরের দুই মন্ত্রীর পরস্পরের প্রতি হুঁশিয়ারি চলছে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।