রাজ্যপালকে নিশানা করে তৃণমূলের বাক্য-বোমা ‘কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী?’

ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রাণহানি। কোচবিহারে বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন। রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন। বারাসাতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন। আবার খুন…

Kunal Ghosh, attack, Governor

ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রাণহানি। কোচবিহারে বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন। রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন। বারাসাতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন। আবার খুন খড়গ্রামে।এই পরিস্থিতিতে ট্যুইটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কটাক্ষ করল তৃণমূল। প্রশ্ন তুলল কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ?

ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘শিউরে ওঠার মতো একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে শকওয়েভ। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খড়গ্রামে ৩ দলীয় কর্মী খুন’ ট্যুইট তৃণমূল কংগ্রেসের। ডোমকলে গুলিতে ২ তৃণমূলকর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি।

   

যখন প্রয়োজন তখন কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ট্যুইটে প্রশ্ন করে তৃণমূল। মানুষের নিরাপত্তা ব্যর্থতার দিকে তা ইঙ্গিত করে, ট্যুইট তৃণমূল কংগ্রেসের। শাসক দল রাজ্যপালকে নিশানা করছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূনিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কমিশন কি ঘুমিয়ে এই প্রশ্ন করছেন বিরোধীরা।

ভোট রুখতে হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের সকালে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।