বাংলাদেশের সাংসদ খুনের নৃশংসতার একই ছবি এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে!

শঙ্কর দাস, বালুরঘাট: পরকীয়ায় ট্রাক্টরের রোটারে টুকরো টুকরো করে খুন মহিলাকে (Dakshin Dinajpur)। শুধু তাই নয় খুনের পর প্রমান লোপাটের চেষ্টায় দেহাংশ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে…

শঙ্কর দাস, বালুরঘাট: পরকীয়ায় ট্রাক্টরের রোটারে টুকরো টুকরো করে খুন মহিলাকে (Dakshin Dinajpur)। শুধু তাই নয় খুনের পর প্রমান লোপাটের চেষ্টায় দেহাংশ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয় প্রেমিক। এমনই নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে তপন থানার রামচন্দ্রপুর এলাকায় (Dakshin Dinajpur)। মৃতের নাম সুলেখা খাতুন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত প্রেমিক সাদ্দাম সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে হাজির করিয়ে তাঁকে দশ দিনের পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।

গত ২১ জুন বিকেলে তপনের রাখচন্দ্রপুর এলাকার তরিওট কালিনগর গ্রামে পাট ক্ষেতের পাশের জমিতে মানব শরীরের শিরদাঁড়া ও পায়ের পাতার অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দেহাংশের কাছেই পড়েছিল একটি জুতোও। প্রথমাবস্থায় সেগুলি অপরিচিত কারও দেহাংশ বলেই সকলে জানতেন।

   

অন্যদিকে এলাকারই পশ্চিম নিমপুর গ্রামের গৃহবধূ সুলেখা খাতুন ১৮ জুন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন এলাকায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করলেও থানায় কোন মিসিং ডায়েরি করেন নাই। দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে সুলেখা খাতুনের পুত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে সনাক্ত করে যে জুতোটি তার মায়ের। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেগুলি উদ্ধারের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। সেই সঙ্গে জুতোর সূত্র ধরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে দেহাংশগুলি সুলেখা খাতুনেরই। তল্লাশি চালিয়ে আসপাশের জমি থেকে দেহের টুকরো টুকরো মাংস ও হাড়গোড়ও উদ্ধার করে।

মমতা ফিরতেই কোচবিহারে ‘খেলা’ শুরু তৃণমূলের! ঘুম উড়েছে বিজেপির

খুনের রহস্য উন্মোচনে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে এলাকারই সাদ্দাম সরকার নামের এক ব্যক্তির সাথে সুলেখা খাতুনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মোবাইলে তাঁরা দুজনে কথাবার্তাও বলতেন। সুলেখা খাতুনের স্বামী সইফুল মোল্লা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান টাকা চেয়ে সাদ্দামকে ব্ল্যাকমেইল করার জেরেই মহিলাকে খুন হতে হয়েছে। পুলিশি জেরায় ধৃত সাদ্দাম সরকার স্বীকার করেন যে সেই সুলেখাকে খুন করেছেন।

রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের এসপি চিন্ময় মিত্তাল এব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন মহিলাকে খুন করার পর মৃতদেহ নিজের চাষের জমিতে পুঁতে দেন সাদ্দাম সরকার। দেহাংশ লোপাট ও ঘটনাটি আড়াল করতে পাম্প চালিয়ে জমিটি প্রথমে জলে ভরাট করে দেন। তারপর নিজের ধারালো রোটার সমেত ট্রাক্টর দিয়ে চষে দেওয়ায় সুলেখা খাতুনের দেহের অধিকাংশ মাংস ও হাড় ছোট্ট ছোট্ট টুকরোই পরিণত হয় এবং আশাপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। যাতে কেউ সেগুলি চিহ্নিত করতে না পারে। ঘটনায় মৃতার খুড়তুতো ভাই মিরাজুল মোল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সাদ্দাম সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।

কেন্দ্রীয় নয়, উত্তরের একাধিক জেলায় রাজ্যের বঞ্চনা

অভিযুক্তকে এদিন বালুরঘাট আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে পুলিশ হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।