এক দশকের বেশি সময় ধরে এ রাজ্যে বাম দূর্গের অবক্ষয় ঘটতে শুরু করেছিল৷ এখন বিধানসভায় শূন্য সংকটে ভুগছে বামফ্রন্ট। এর জন্য কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তাঁদেরকে। বিরাট ক্রেডিট হিসাবে বিজেপি এবং তৃণমূল এবং বিজেপির পিঠ চাপড়েছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। কিন্তু গত কয়েক মাসে ভোল বদলে গেছে। হুড়মুড় করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিতে যাওয়া একের পর এক কর্মীরা লাল ঝাণ্ডা তুলে নিচ্ছে। তাতেই মুচকি হাসছেন আলিমুদ্দিনের CPIM নেতারা।
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের অন্তর্গত গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৩০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন সিপিআইএমে। সদ্য দলবদলকারী ৭৬ টি পরিবার গত এক দশক তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত বলেই জানা গেছে৷ জানা গেছে রাজ্য সরকারের একাধিক কার্যকলাপ এবং ১০০ দিনের দুর্নীতির কারণে তৃণমূল ছেড়েছেন তারা।
পড়ুন: ‘সুশান্ত ঘোষ ডাকছেন’, তৃণমূল ছেড়ে নেতা সহ ২৫০ জন হুড়মুড়িয়ে CPIM হয়ে গেল
এ বিষয়ে সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোশাদ্দেক হোসেন জানিয়েছেন, বংশীহারী ব্লকের অন্তর্গত টেপরিদহ এলাকায় প্রায় ৭৬ টি পরিবার তৃণমূল থেকে সিপিআইএমে যোগদান করলেন। শুধু গাঙ্গুরিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা নয়, আরও অনেক জায়গাতেই এরকম দলে দলে তৃণমূল ও বিজেপি থেকে যোগদান করার জন্য কর্মীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একজন যোগদানকারী জানিয়েছেন তৃণমূলের বহু দুর্নীতির কারণে ও ১০০ দিনের দুর্নীতির কারণে আমরা তৃণমূল থেকে সিপিএম এ যোগদান করলাম।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের খরা কাটিয়ে জেলায় জেলায় বাড়ছে বামেদের সংগঠন। ফলশ্রুতি হিসাবে একাধিক উপনির্বাচনে জয়লাভ হয়েছে বামেদের। পুরভোটে বিরোধী দল বিজেপিকে ফলাফলে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিআইএম।