Malda: ভোট লুঠের উৎসব! ‘দাদা আপনারই ছাপ্পা ভোট দিলেন’…কটাক্ষে জর্জরিত ভোট কর্মীরা

ও দাদা আপনারাই ভোট দিয়ে দিলেন! দাদা ছাপ্পা ভোট দিলেন নাকি ? এমন কটাক্ষ শুনেও নীরব ভোট কর্মীরা। খোদ সেক্টর অফিসারও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বুথ…

ও দাদা আপনারাই ভোট দিয়ে দিলেন! দাদা ছাপ্পা ভোট দিলেন নাকি ? এমন কটাক্ষ শুনেও নীরব ভোট কর্মীরা। খোদ সেক্টর অফিসারও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বুথ লুঠের ভোট উতসবে এমন এক ছবি এসেছে মালদা থেকে।

মানিকচকে মাত্র আড়াই ঘন্টায় শেষ হয়ে গেল ভোট গ্রহণ পর্ব। সকাল ১০ টার মধ্যে সিল ব্যালট বাক্স। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সেক্টর অফিসার। জানা গিয়েছে, মানিকচকের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৩ নম্বর বুথে সকাল সাড়ে নটার মধ্যে সমস্ত ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়ে যায়। ১০টার মধ্যে ব্যালট বাক্সও সিল করে দেন ভোটকর্মীরা। বুথের গেটে তালা ঝুলিয়ে বেরিয়ে গেছেন সেক্টর অফিসার।

তবে এত কম সময়ে কিভাবে ৮৪৩ জন ভোটারের ভোট জমা হল তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ভোট কর্মীরা। মুখে কুলু এঁটেছেন সেক্টর অফিসার। তাকে বারংবার জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এই বুথও কি ছাপ্পা ভোটের শিকার? গোটা ঘটনায় কি জড়িয়ে রয়েছে ভোট কর্মীরাও? তা না হলে এত দ্রুত কিভাবে ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হল এমনই প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজনৈতিক মহলে।

ভোটের আগে থেকে মালদা বারবার গরম। একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিনও মালদায় ভয়াবহ পরিস্থিতি।  ভোট রুখতে হিংসা  নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের সকালে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।