‘সুশান্ত ঘোষ ডাকছেন’, তৃণমূল ছেড়ে নেতা সহ ২৫০ জন হুড়মুড়িয়ে CPIM হয়ে গেল

পশ্চিম মেদিনীপুরে সংগঠন আগের থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। একথা শুক্রবার সকালেই কলকাতা ২৪x৭ কে জানিয়েছিলেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। বেলা গড়াতেই সেই উদাহরণ হাতেনাতে…

পশ্চিম মেদিনীপুরে সংগঠন আগের থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। একথা শুক্রবার সকালেই কলকাতা ২৪x৭ কে জানিয়েছিলেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। বেলা গড়াতেই সেই উদাহরণ হাতেনাতে মিলল। সদলবলে বাম-সভায় গেলেন  তৃণমূল নেতা। জানালেন সুশান্ত ঘোষ ডাকছেন। মানুষের কাজ করব।

পড়ুন:‘ভোটবাক্স পুকুরে ফেলে দিন’ বলে শুভেন্দু জনগণকে অপমান করেছেন: সুশান্ত ঘোষ

শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুরের দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর বুথে। রাজার মোড়ে বিকেল বেলায় চলছিল সিপিআইএমের দলীয় সভা। সেখানেই যোগদান করলেন বুথ সভাপতি সুভান আলি। শুধুমাত্র তৃণমূলের বুথ সভাপতি নয়, একাধিক নেতা এদিন যোগদান করেন।

এই দলত্যাগী তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে বুথ সভাপতি পদে ছিলেন তিনি৷ কিন্তু ওই পদে থেকেও কাজে বাধা দিচ্ছিলেন কর্মাধ্যক্ষ কৌসর আলি। অভিযোগ, প্রতিবাদ করলেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেন কৌসর আলি। এমনকি বাড়ি ছাড়া ছিলেন দীর্ঘ সময়। মেয়ের বিয়েতে ফরমান জারি করা হয়েছিল। মাত্র ১০ জন উপস্থিত হয়েছিলেন৷ কৌসর আলি সবটাই পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিএমসি নেতা সুভান আলি। তার বক্তব্য, ১২২ এবং ১২৩ নম্বর বুথে কার্তিক মণ্ডল এবং বাসুদেব মাইতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় কেউ যোগদান করলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। উন্নয়নে কেউ বাধা দেয় না। উন্নয়ন হয়েছে কি না মানুষ জানে।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে শূণ্য হাতে ফেরা বামেদের জেলায় জেলায় সংগঠন বেড়েছে। এর উদাহরণ হিসেবে বিধানসভা পরবর্তী একাধিক নির্বাচনে বামেদের ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে সিপিআইএমে যোগদান, ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।