BJP: বিজেপির ভিতর অশনি সংকেত আভাস দিলেন শান্তনু ঠাকুর

যত সময় এগোচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে ফাটল যেন ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। অনেকেই বিদ্রোহের পথ বেছে নিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলে…

যত সময় এগোচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে ফাটল যেন ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। অনেকেই বিদ্রোহের পথ বেছে নিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলে কোন্দল শুরু হয়। একে একে অনেকেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়তে শুরু করেন। দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে উঠে আসে। এরই মাঝে শনিবার পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিজেপির বৈঠক বসে। এদিন এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। ছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

এদিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সাংসদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বঙ্গ বিজেপির কমিটি দেখে মনে হয় না এরাজ্যে বিজেপি এগিয়ে যেতে পারবে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর হাতকে মজবুত করা। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি যে কমিটি তৈরি করেছে তা দলের ক্ষতি করছে। এই কমিটি দেখে অশনি সংকেতের আভাস পাচ্ছি। কোনও এক বিশেষ ব্যক্তি দলকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। যেভাবে দলকে কুক্ষিগত করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে অন্য দলের সঙ্গেও যোগ রয়েছে। বিজেপির ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রকে আমরা বানচাল করব। যারা ২ শতাংশ থেকে দলকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গেল তাঁদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’

   

সূত্র মারফত খবর, এদিনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি, তুষার মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মিত্র, ব্রত ঠাকুর এবং অশোক কীর্তনীয়া।

এদিকে শান্তনুর বক্তব্যের পর ফের একবার নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ‘বিজেপির কোনো ক্ষতি হতে দেব না,’ তাঁর এহেন মন্তব্যের পর বিশিষ্ট মহলের ধারণা, তাহলে কি অল ইস ওয়েল হয়ে গেছে? মিটে গেছে বিজেপি-শান্তনুর দ্বন্দ্ব? তা হয়তো সময়ই বলবে।